যশোরে বিএডিসির ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ- যশোর অফিস
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:১৩
প্রায় তিন কোটি টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগে যশোর বিএডিসির আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো: আল আমিন এই তিনটি মামলা করেন।
আসামিরা হলেন বিএডিসির সাবেক উপ-পরিচালক তপন কুমার সাহা, মো: আমিন উল্লাহ ও ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, সাবেক সহকারী পরিচালক মো: আলী হোসেন ও মো: আক্তারুজ্জামান তালুকদার, সাবেক গুদামরক্ষক লিয়াকত আলী ও রেজাউল কবির এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত গুদামরক্ষক কামরুল হাসান।
মামলায় দুই কোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৫ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রথম মামলায় আসামি করা হয়েছে ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, আমিন উল্লাহ, আলী হোসেন ও মো: রেজাউল কবিরকে। তাদের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৮৪ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়েছে।
প্রথম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল ২০১৮-১৯ উৎপাদন বর্ষে ঝিনাইদহে উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি খামারের ৪০ হেক্টর (৯৮ দশমিক আট একর) জমিতে ৮০ টন এসএলএইট জাতের হাইব্রিড ধান বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ওই বীজ উৎপাদনের জন্য বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিক, জিএ-৩ চাষাবাদ ও অন্য খরচ বাবদ মোট এক কোটি ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু আসামিরা যোগসাজশে ঝিনাইদহে উৎপাদিত ২২ দশমিক ০৩৫ টন বোরো এসএলএইট-এইচ ও নয় হাজার ৩৬৮ কেজি বারি ৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ঝিনাইদহে উৎপাদিত ৭৫ দশমিক ০৭৫ টন বোরো এসএলএইট-এইচ, ৪ দশমিক ০৬৯ টন ব্রি ধান-২৮ ও দুই হাজার ৬২৫ কেজি বারি-৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলায় এক কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪১ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তৃতীয় মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত ৩২ দশমিক ১১০ মেট্রিকটন বোরো এসএলএইট-এইচ, ৯ দশমিক ৮২৫ কেজি বারি-৩০ জাতের বীজ আত্মসাৎ করেছেন। তাদের ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে সর্বমোট দুই কোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা