২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই হাত নেই, পায়ে লিখেই ইবির ভর্তিযুদ্ধে হাবিবুর

হাবিবুর রহমান। - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার হাবিবুর রহমান। জন্ম থেকেই নেই জীবনধারণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ দু’হাত। তবে আকাশসম স্বপ্ন দমিয়ে রাখতে পারেনি হাবিবুরকে। পায়ের ওপরই রেখেছেন অটুট ভরসা, দৃঢ় মনোবল নিয়ে চলছেন স্বপ্ন জয়ের পথে।

সোমবার (৫ জুন) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত 'ডি' ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।

হাবিবুরের বাবা আব্দুস সামাদ পেশায় কৃষক এবং মা হেলেনা খাতুন গৃহিণী। চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট হাবিবুর। ২০২০ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ এবং ২০২৩ সালে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ নিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশেত সেবায় নিয়োজিত হতে চান হাবিবুর। আর সেই স্বপ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তিনি। আর তাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি। এর আগে হাবিবুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আলিম পরীক্ষার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন জাগে। পরিবারের অনুপ্রেরণা পেয়েই আমি আজ এতদূর আসতে পেরেছি। কখনো প্রতিবন্ধকতার কারণে হেয় শিকার হতে হয়নি। সবাই ভালোভাবে নিয়েছে। আমি জীবনে ভালো মানুষ হতে চাই।’

তিনি আরো বলেন, ইচ্ছে শক্তি থাকলে সবকিছু সম্ভব। চেষ্টা করলেই আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন। চেষ্টা না করলে আসলে কোনো কিছু সম্ভব না। সবাইকে চেষ্টা করা উচিত। কষ্ট হবে বিপদ আসবে। এর মাধ্যমে জয় করতে হবে। চেষ্টা না করলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।

তার প্রতিবেশী আজমল হোসেন বলেন, ছেলে আমার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। শারীরিক গঠনে অন্য আট-দশ জনের মতো না হলেও কোনো দিক হতে পিছিয়ে নেই। ছোট থেকেই অনেক মেধাবী সে।


আরো সংবাদ



premium cement