২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে বেনাপোল স্থলবন্দরে ২৫৬ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায়

অর্থবছরের-প্রথম-৮-মাসে-বেনাপোল-স্থলবন্দরে-২৫৬-কোটি-টাকা-কম-রাজস্ব-আদায় - ছবি : নয়া দিগন্ত

স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে কাস্টমের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। সেখানে আদায় করা হয়েছে তিন হাজার ৬৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

এই আট মাসে পণ্য আমদানি কমেছে এক লাখ এক হাজার ৯৪১ দশমিক তিন মেট্রিক টন। আগের অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই থেকে ফেরুয়ারি) আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৯ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেরুয়ারি) মাসে আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৮ দশমিক দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন। বেনাপোল কাস্টম সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

কাস্টম ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে ডলার সঙ্কটের কারণে খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানিতে ব্যাংক লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলছে না। এতে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে পারছে না। এছাড়া নানা অনিয়ম ও হয়রানির কারণে রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এসব নানা কারণে গত ১০ বছর ধরে বেনাপোল কাস্টম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারেনি।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গেল অর্থবছরে (২০২১-২২) বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ৫৫৮ কোটি আট লাখ টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছিল। অর্থবছরটিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা, সেখানে আদায় করা হয়েছে চার হাজার ৫৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ছয় হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, সেখানে আদায় হয়েছিল চার হাজার ১৪৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ওইবছর ঘাটতি ছিল দুই হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পণ্য আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৯ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৮ মেট্রিক টন। আমদানি কম হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৯৪১ দশমিক তিন মেট্রিক টন। যেকারণে রাজস্ব আদায়ও কম হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে গেছে।

২০১৯-২১ অর্থবছরে পন্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ছয় মেট্রিক টন পণ্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আমদানিকারক জানান, কাস্টমের নানা হয়রানি আর বন্দর ব্যবস্থাপনায় অনিয়মনের কারণে অনেক ব্যবসায়ী বেনাপোল ছেড়ে অন্য বন্দরে চলে গেছে। ফলে আমরা ব্যবসায়ীরাতো আছি, সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

যশোরের আমদানিকারক জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা মোটরপার্টস আমদানি করে তা সারা দেশে বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে যশোরের কোনো ব্যাংক এলসি খুলছে না। যে কারণে আমরা পণ্য আমদানি করতে পারছি না। পণ্য আনতে না পারার কারণে ব্যবসায়িকভাবে লোকসান হচ্ছে। সামনে কি পরিস্থিতি হবে কে জানে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বেনাপোল দিয়ে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বর্তমানে ডলার সঙ্কটের কারণে সরকার এলসিতে শতভাগ মার্জিন শর্ত দিয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো ডলার সঙ্কট দেখিয়ে এলসি খুলছে না। যেকারণে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে রাজস্বও কম আসবে এটাই স্বাভাবিক।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, সরকার এলসি করতে শতভাগ মার্জিন দেবার নিয়ম করেছে। গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এতে আমদানির সাথে জড়িত হাজার হাজার ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে দুরাবস্থায় রয়েছেন। এখন আমদানিকারকরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। একেতো বাণিজ্য ভালো নেই, তার উপর পণ্য আমদানি করতে না পারলে আমদানির সাথে জড়িতরা আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, ডলার সঙ্কটে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে এলসি খুলতে পারছে না। যেকারণে গত আট মাসে পণ্য আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে আমাদের রাজস্ব আয়ও কমে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস

সকল