২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রী-কর্মীরা ইবি থেকে সাময়িক বহিষ্কার

অভিযুক্ত ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। - ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেত্রী-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

তিনি জানান, ‘বেলা ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত ভিসির কার্যালয়ে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সভায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে।’

সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ও বাকিরা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত ১ মার্চ তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগে ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় এই পাঁচ ছাত্রীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল থেকে বহিষ্কার করে হল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে আজ (শনিবার) হলের সিট নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন। ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলীনা নাসরীনের সাথে দেখা করেন তিনি। এ সময় তিনি নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে থাকতে অস্বীকৃতি জানান। একইসাথে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে থাকতে চান। তার ইচ্ছানুযায়ী হাইকোর্টের নির্দেশনামতে তাকে উক্ত হলে আবাসিকতা প্রদান করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলীনা নাসরীন।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরি খাতুনকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে অন্তরা, তাবাসসুম, মোয়াবিয়া, মীম ও উর্মিসহ ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তদন্তে পৃথক চারটি কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ। তদন্তে সেই রাতে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে চার তদন্ত কমিটিই।


আরো সংবাদ



premium cement