মাদরাসাছাত্রী মরিয়ম বাঁচতে চায়
- তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:১০
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মহিলা হাফিজিয়া মাদরাসাছাত্রী মরিয়ম (৮) অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হয়ে আবারো মাদরাসায় ফিরতে চায় সে।
জানা যায়, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার একটি এতিমখানায় পড়াশুনা করতো মরিয়ম। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ায় সেখানে একটি মাদরাসায় ভর্তি করেন মা। কিন্তু গত ২৯ ডিসেম্বর সেখানে রান্নার সময় আগুনে দগ্ধ হয় শিশু মরিয়ম। তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরিবার জানিয়েছে, সেখান থেকে গত ১৫ জানুয়ারি ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। সে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চারতলায় শিশু ওয়ার্ডে ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বুধবার সকালে তার গলায় অপারেশন হয়েছে। সুস্থ হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
মরিয়ম খুলনার পাইকগাছা থানার দরগামহল গ্রামের শেখ লিটনের মেয়ে। তবে নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে পরিবার ফেলে রেখে বাবা লিটন এখন নিরুদ্দেশ। যোগাযোগ নেই পরিবারের কারো সাথে। স্ত্রী মমতাজ বেগম এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন হরিঢালী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে সরকারি গুচ্ছগ্রামে।
মা মতাজ বেগম জানান, অভাবের তাড়নায় মেয়েকে এতিমখানায় দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই রান্না করতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয় আট বছরের শিশুটি। এখন চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছে না অসহায় পরিবারটি।
মরিয়মের মামা শফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধপত্র দিচ্ছে। বাইরে থেকে দৈনিক অ্যালবোটিন নামের একটি ইনজেকশন কিনতে হচ্ছেঅ যার দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা। এছাড়া আনুষঙ্গিক আরো কিছু ওষুধ কিনতে হচ্ছে।
মা মমতাজ বেগম জানান, ‘আমি দিনমজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার কোন টাকা নেই। দৈনিক সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বিভিন্ন মানুষদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে মরিয়মের চিকিৎসা করছি’।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু বলেন, রান্না করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যায় মেয়েটি। পরিবারটি খুবই গরীব। সবার সহযোগিতায় তার চিকিৎসা চলছে। তিনি নিজেও সহায়তা করেচেন। অসহায় এ পরিবারের চিকিৎসায় সমাজের বিত্তশালী ও হৃদয়বানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি। যোগাযোগ : ০১৯৪২১৫৮৬৬৯ (শিশুটির মা মমতাজ বেগম)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা