২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শৈলকুপায় অনিয়মের অভিযোগে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

দলিল লেখকদের কর্মবিরতি - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাব রেজিস্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহে শৈলকুপায় দলিল লেখকদের কর্মবিরতি চলছে।

উপজেলার মধ্যে দলিল কমিশনে অতিরিক্ত ফি দাবি, দলিল রেজিস্ট্রির সময় নানা অজুহাতে দলিল প্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বিলম্বে অফিসে আসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রোববার থেকে সাব রেজিস্টার ইয়াসমিন শিকদারের বিরদ্ধে এ কর্ম বিরতি শুরু হয়েছে বলে জানান দলিল লেখকরা।

এদিকে দলিল রেজিস্ট্রি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে সাব রেজিস্টার ইয়াসমিন শিকদার তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শৈলকুপা সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান বলেন, সাব রেজিস্টার ইয়াসমিন শিকদার শৈলকুপায় যোগদানের পর থেকে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। উপজেলার মধ্যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে দলিল কমিশন হিসেবে সরকারিভাবে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্ত তিনি প্রতি দলিলে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে থাকেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন অফিসে যে দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে তাতে বিভিন্ন অজুহাতে সেখানে প্রতি দলিলে তিনি ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। এছাড়া প্রতিদিন তিনি বেলা ১২টার আগে অফিসে আসেন না বলেও অভিযোগ দলিল লেখকদের।

দলিল লেখক রবিউল ইসলাম সাবু অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে লিখিত একটি দলিলে ঢাকায় কমিশন করে রেজিস্টার করতে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন সাব রেজিস্টার ইয়াসমিন শিকদার। অথচ এ কাজের সরকারি কমিশন ফি নয় হাজার টাকা বলে।

এছাড়াও নাবালক সন্তানের ক্ষেত্রে কোর্টের অনুমতি নিয়ে অভিভাবকরা জমি বিক্রি করতে গেলে সেখান থেকেও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সোমবার জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লক্ষ্মীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম বলেন, অফিসে এসে দেখি দলিল লেখকদের কর্মবিরতি চলছে। জমি রেজিষ্ট্রি করতে না পারায় তাদের মতো আরো অনেককে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সাব রেজিস্টার ইয়াসমিন শিকদার বলেন, দলিল লেখকরা তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন এটা তাদের মনগড়া। তিনি সরকারি নিয়মের বাইরে কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করেন না বলেও দাবি করেন। এছাড়া অফিসে বিলম্বে আসার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসিল্যান্ড বনি আমিন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে কেউ তাকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করেননি।


আরো সংবাদ



premium cement