২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যশোরে বাড়ির লোকজনকে বেঁধে ডাকাতি

যশোরে বাড়ির লোকজনকে বেঁধে ডাকাতি। - ফাইল

যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের পতেঙ্গালী গ্রামের এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার মধ্যরাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে বেঁধে রেখে লুটপাট চালায়। ওই সময় তাদের বিস্ফোরিত ককটেলে একজন আহত হন। ঘটনাটি ওই গ্রামের মৃত নয়ন চক্রবর্তীর ছেলে কমল চক্রবর্তীর বাড়িতে ঘটেছে। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কমল জানান, রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে মুখোশধারী পাঁচ থেকে ছয়জন তার ঘরের পশ্চিম পাশের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ও তার স্ত্রী অরুন্ধুতির হাত বেঁধে ফেলে। এরপর তার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। তখন কমল চক্রবর্তী চিৎকারে তার ভাইয়ের স্ত্রী মৌসুমী চক্রবর্তী এগিয়ে আসলে তাকেও বেঁধে ফেলা হয়। পাশের রুমে গিয়ে তার ভাই শ্যামল চক্রবর্তীকেও বেঁধে ফেলে ডাকাতরা। এরপর তারা বাড়িতে থাকা স্টিলের আলমারি থেকে আনুমানিক ৯ থেকে ১০ ভরি সোনা, নগদ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং তার ভাই শ্যামল চক্রবর্তীর ঘর থেকে নগদ এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ও পাঁচ থেকে ছয় ভরি সোনা লুট করে।

ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পেরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ওইসময় প্রতিবেশী নুরু গাজীর ছেলে সুমন গাজী ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন। ডাকাতি শেষে রাত আড়াইটার দিকে কমলের বাড়ির পশ্চিম দিকের মাঠ দিয়ে ডাকাতরা চলে যায়। এরপর স্থানীয়রা আহত কমল চক্রবর্তী ও সুমন গাজীকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি,তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাতেই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। রোববার সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement