২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বেনাপোলে আমদানিকৃত পণ্যের সাথে ফেনসিডিল ও নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ

বেনাপোলে আমদানিকৃত পণ্যের সাথে ফেনসিডিল ও নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ - ছবি : নয়া দিগন্ত

বেনাপোলে বন্দরে আবারো আমদানিকৃত পণ্যে মিললো ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ।

রোববার ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘স্মার্ট লাইফ ফুটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ’ ৮৪০ ব্যাগ মাইক্রোসেল পিটি নামে একটি পণ্য আমদানি করেন। যার আমদানি মূল্য ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। (বাংলাদেশি ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা)।

পণ্যচালানটির রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের রাজস্থানের এসএস ব্লুকেম ইন্ডাস্ট্রি।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় একটি ট্রাক (যার নম্বর-নং ডাব্লিউ-বি৪১-ই-০৯১৮) রোববার সকালে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর বিশেষ খবরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য বোঝাই ট্রাকটি বন্দর থেকে কাস্টম হাউজে নিয়ে আসে। এ সময় বিভিন্ন সংস্থার সামনে ট্রাকের ত্রিপল খুলে আমদানিকৃত মালের মাথে ৬০০ বোতল ফেনসিডিল ও বিভিন্ন ধরনের ২২ হাজার ৫১৮ পিস নিষিদ্ধ ওষুধ পায়। সুজুতি এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট চালানটি আমদানি কারকের পক্ষে গ্রহণ করেন।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে চোরাচালানের মালামাল পাঁচার করছে। গত তিন মাসে এ ধরনের অনেকগুলো চালান আটক করা হয়। ভারতীয় ট্রাকচালক, আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে থানায় ফৌজদারি মামলা রুজু করা হবে।

এর আগে গত ১৫ জুন রাতে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ বাজি, ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।

এ দিকে স্থানীয়রা জানান, বন্দরে সিসি ক্যামেরা আর বিভিন্ন সংস্থার নজরদারী এড়িয়ে বৈধ পথে, বৈধ পণ্যের সাথে ভারতীয় ট্রাকযোগে প্রায়ই ঢুকছে মাদকের বড় বড় চালান। এসব পণ্যের সাথে সরাসরি ভারতীয় ট্রাকচালকরা অবৈধ অর্থ কামানোর জন্য জড়িত হয়ে পড়ছে। আর ঘটনার সাথে এপার-ওপারের রাঘববোয়ালরা বরাবর থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। যার ফলে কোনোভাবে মাদক প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement