লোডশেডিংয়ে মারাত্মক বৈষম্যের শিকার শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ
- শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
- ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৯:১৮
জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার ঘোষিত সিডিউল লোডশেডিংয়ে মারাত্মক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা। প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, দিনের বেলা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেয়া হলেও রাতে দেয়া হয় মাত্র এক থেকে দু’ঘণ্টা। ফলে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে।
অপরদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বরফকলগুলোতে বরফ জমাতে না পারায় বিপাকে পড়েছে সমুদ্রগামী সব ফিসিংট্রলার।
জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে গড়ে বাগেরহাট সদরে দু’ঘণ্টা, মোংলায় এক ঘণ্টা, রামপালে দু’ঘণ্টা, ফকিরহাটে তিন ঘণ্টা, মোল্লাহাটে তিন ঘণ্টা, চিতলমারিতে দু’ঘণ্টা, কচুয়ায় তিন ঘণ্টা করে সিডিউল লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। কিন্তু শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় গড়ে ১৭ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এমন বৈষম্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়ার দাবি জানান তারা।
শরণখোলার সিনিয়র সাংবাদিক শেখ মোহাাম্মদ আলী বলেন, ‘জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের দেয়া সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু বৈষম্যমূলক লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মেহেদী হাসান লিপন জানান, জাতীয় গ্রিডের অজুহাত দিয়ে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জে সিডিউলের চেয়ে অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।
মেঘা বরফকলের মালিক গোলাম মোস্তফা তালুকদার বলেন, দিনে কিছুটা বরফ জমা হলেও রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় তা আবার গলে যাচ্ছে।
শরণখোলা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার জানান, বরফের অভাবে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছে না।
শরনখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্তা বলেন, ‘এতো বেশী লোডশেডিং দেশের অন্য কোথাও দেয়া হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। বিষয়টি জেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।’
এ ব্যপারে শরণখোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আশিক মাহামুদ সুমন জানান, ‘আমাদের এখানে দিনে ৭ মেগাওয়াট ও রাতে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বাগেরহাট গ্রিড থেকে দেয়া হচ্ছে মাত্র তিন থেকে চার মেঘাওয়াট। তাই সেই হিসেবে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা