২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কোরবানির হাট মাতাবে ট্রাম্প-সম্রাট

- ছবি - ইউএনবি

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে খুলনায় কোরবানির জন্য সাড়ে ২৭ মণ ওজনের সম্রাট এবং ২৬ মণের ট্রাম্পকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শুধু সম্রাট-ট্রাম্পই নয়, এই ফার্মে রয়েছে সম্রাটের ভাই নবাব, আছে ডন, বাদশা, টাইটেন, জেমস, কালুসহ বাহারি নাম আর রঙয়ের ৬৫টি গরু।

খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের মধুমতি ডেইরি ফার্মে এবারের ঈদে কোরবারির জন্য নয়টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্রাট আর ট্রাম্প এবারের কোরবানির পশুর হাট মাতাবে বলে মন্তব্য করেছেন ফার্মের সংশ্লিষ্টরা।

ফার্মের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইমতিয়াজ হোসেন রনি বলেন, ফার্মটি আমার চাচা শামীম শেখের। আমি নিজেসহ বেশ কয়েকজন ফার্মটি দেখাশোনা করি। কিছু কর্মচারী রয়েছে। এই খামারের শুরুতে সাড়ে তিন থেকে চার বছর আগে ১৪টি গরু আনা হয়। এখন চার প্রজাতির ৬৫টি গরু রয়েছে খামারে। এই সময়ের মধ্যে আরো ছয়টি গরু বিক্রি করা হয়েছে। এটি দুগ্ধ খামার। এখানে এবার কোরবানি ঈদের জন্য নয়টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে আকার-আকৃতি, গঠন, রঙ, স্বভাব, চেহারা সবদিক থেকে আকর্ষণীয় হচ্ছে সম্রাট। যে কারোরই পছন্দ হবে। এটির দাম ১৩ লাখ টাকা বলেছিলেন একজন। কিন্তু আমরা ২৫ লাখ টাকা বলেছি। আশা করছি, হাটে নেয়ার পরই বিক্রি হবে। ট্রাম্পও ভালো দামে বিক্রি হবে- ইনশাআল্লাহ। দুটি গরুই শান্ত প্রকৃতির।

তিনি বলেন, এরা সাধারণ খাবারই খায়। গমের ভূষি, সয়াবিনের খৈল, ধান ও ভুট্টার কুড়া খেয়ে থাকে। এর সঙ্গে দুপুরে নিজেদের ফার্মেই উৎপাদিত ঘাস খাওয়ানো হয়।

ফার্মের কর্মচারী জাফর ভূঁইয়া বলেন, এই ফার্মের শুরু থেকে এখানে কাজ করি। গরুগুলোকে সাধারণ খাবার খাওয়ানো হয়। আর দুধের গরুগুলোকে এসব খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানো হয় ক্যালসিয়ামের জন্য। খাবারের সঙ্গে আয়োডিনযুক্ত লবণ দেয়া হয়। এসব খাবার দুই বেলা দেই আর এক বেলা ঘাস।

ফার্মের মালিক শামীম শেখ জানান, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ফার্মে নয়টি গরুর মধ্যে আকর্ষণীয় হচ্ছে সম্রাট ও ট্রাম্প। এর মধ্যে সম্রাটের ওজন সাড়ে ২৭ মণ হবে। আর কালো রঙয়ের ট্রাম্পের ওজন ২৬ মণ হবে। গরুগুলো ঢাকা গাবতলীর হাটে নেয়া হবে। আকর্ষণীয় এই দুটি গরুর দাম ৩২ থেকে ৩৩ লাখ টাকা প্রত্যাশা করছি। যার মধ্যে সম্রাট ১৭ থেকে ১৮ লাখ এবং ট্রাম্প ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা। বাকি গরুগুলো বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হবে।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মণ্ডল বলেন, বিগত দিনে কোরবানির জন্য ৮০ হাজার গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। এই বছর তার চেয়ে কিছু বেশি হবে। কারণ করোনার প্রভাব না থাকার কারণে আমরা সকল উৎসবে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখছি। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি এবার কোরবানির ঈদ আনন্দময় হবে।

তিনি বলেন, এবার সাত হাজার ৬১৪ জন খামারি ২৩ হাজার ৯১৭টি গরু কোরবানির জন্য লালন-পালন করেছে। এছাড়া মহিষ ১৭টি, ছাগল প্রায় ৯৩ হাজার এবং দুই হাজার ৩৫০টি ভেড়া রয়েছে।

তিনি বলেন, খামারির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে কোয়ালিটিও বাড়ছে। অনেকেই এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করছে। প্রাণিসম্পদে লাভ আকাশচুম্বি না হলেও লাভ অবশ্যই আছে। এই সময়ে মৌসুমী কিছু খামারিও গরু প্রস্তুত করে। বরাবরই তারা লাভ পেয়ে আসছেন। এবাররো তারা লাভ পাবে। বেকার যুববকরা অনেক বিনিয়োগও করছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement