২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভৈরবে নদীর খননকৃত মাটি লুটপাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন

নদী খননের মাটি লুটপাটের বিরুদ্ধে যৌথভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। - ছবি: নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান ভৈরব নদীর পুনঃখননকৃত মাটি একটি মহল কৌশলে লুটপাটের ঘটনায় নদীর আশপাশের কৃষকেরা প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন। ইতোমধ্যেই ভৈরব নদীর কোল ঘেঁষে বসবাসরত কেডিকে ইউনিয়ন ও বাঁকা ইউনিয়নবাসী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে বাঁকা জোড়া ব্রিজের পাশে বাঁকা ও কেডিকে ইউনিয়নের কয়েক শ’ কৃষক ভৈরব নদী খননের মাটি লুটপাটের বিরুদ্ধে যৌথভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত কৃষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, এলাকার ঐতিহ্য ভৈরব নদী খননের শুরু থেকেই নদী খননের মাটি যা নদীর পাড় সংরক্ষণের রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার হবে। ওই মাটি একটি প্রভাবশালী মহল ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছে। অন্যদিকে নদী-সংলগ্ন মালিকানা জমির মাটি পর্যন্ত তারা বিক্রি করে চাষজমি ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ছাড়াও রাতে শত শত অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি টানার কারণে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ঘাটের ক্ষতির পাশাপাশি এসব যানবাহনের প্রচণ্ড শব্দে জনস্বাস্থ্যও ক্ষতির দিকে যাচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাসেম সরকার, আজিজুল, নুর ইসলাম, মোয়াজ্জেম, মহাসিন, খোরশেদ আলম ও সাত্তার মেম্বার।

কেডিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস শুকুর সরকার বলেন, ‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচির আওতায় সরকার ভৈরব নদী খননের কাজ শুরু করেন। কিন্তু সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন এলাকার কিছু মাটি-খেকো। তারা রাত-দিন নদীর খননের মাটি পাড় কেটে ট্রাক্টরযোগে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে নদীকূলের কৃষি জমি পাড়বিহীন অবস্থায় নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাটি ট্রাক্টরের কারণে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও শব্দ দূষণের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধনের কথা শুনেছি। তবে মাটি কাটা তো বর্তমানে বন্ধ আছে।


আরো সংবাদ



premium cement