২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খুলনায় ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত

- ছবি : নয়া দিগন্ত

খুলনায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ, ছাত্রলীগ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড় থেকে সদর থানার মোড় পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

জানা গেছে, পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ, ৫০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৫০ রাউন্ড রারার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ রেহেনা, সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, কাওসারী জাহান মঞ্জু ও মুন্নীজামানসহ অন্তত ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যাালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কটূক্তির প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে শহিদ হাদিস পার্কে মহানগর ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে উভয় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রলীগ হাদিস পার্কের সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড়ের দিকে যায়। অপরদিকে কেডি ঘোষ রোডের সমাবেশ থেকে বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ পিছু হটে পিকচার প্যালেস মোড়ের দিকে যায়। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ একসাথে বিএনপির কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া করে। এছাড়া যুবলীগের আরেকটি গ্রুপ কেডি ঘোষ রোডের দক্ষিণ দিক থেকে থানার সামনে থেকে বিএনপির কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে পিকচার প্যালেস থেকে কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির অফিসের সামনের গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

তারা জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় দলের কর্মীরা বহু দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ সময় আতঙ্কে নগরীর দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ছুটতে থাকে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী আক্রমণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিছু হটলে বিএনপি অফিসের সামনে রক্ষিত পাঁচ শতাধিক চেয়ার ও বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়। এতে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ সারাদেশে এক নৈরাজ্যজনক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তারা পুলিশের সহায়তায় আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর হামলা চালিয়ে সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর বিএনপি সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেন, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৫০ রাউন্ড টিয়ারশেল, ১৫০ রাউন্ড রারার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা? কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার যুবকের লাশ উদ্ধার ভুয়া সনদ সিন্ডিকেট : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ ঢাকার পয়োবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

সকল