২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাঁধা হলো না ঘর, কচুরিপানার নিচে স্বপ্ন শেষ

বাঁধা হলো না ঘর, কচুরিপানার নিচে স্বপ্ন শেষ - ফাইল ছবি

যশোরের শার্শা উপজেলার বৃত্তিবারিপোতা গ্রামের এক সময়ের দিন মুজুর নাসির উদ্দীনের স্বপ্নের ঠিকানা আর বাঁধা হলো না। যে ভিটায় বসত-ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন সেই ভিটাতেই মর্মান্তিকভাবে কচুরিপানার নিচে ডুবে মৃত্যু হলো তার।

জানা যায়, বেড়ী নারায়নপুর মন্দিরের পাশে বেতনা নদীর কিনারে এক খণ্ড সরকারি খাসজমি কিনে বসত ঘর বানাতে নিরন্তর প্রচেষ্টা ছিল নাসির উদ্দীনের। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাইকেলযোগে ওই জমিতে যান নাসির উদ্দীন। ওই জমির পাশে গভীর একটি গর্ত ছিল। যা কচুরিপানায় ভর্তি। ঠাণ্ডা পানিতে নেমে নাসির উদ্দীন কচুরিপানা টেনে এনে গভীর গর্ত ভরাট করছিলেন।

ওই গ্রামের তারা বানু জানান, মৃত জয়নুদ্দীনের ছেলে নাসির উদ্দীনের ইচ্ছা ছিল প্রথমে কচুরিপানা দিয়ে গভীর এই গর্ত ভরাট করে পরে মাটি দিয়ে ভরাট করে বসতঘর তৈরী করবেন। সেখানে স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বসবাস করবেন।

বৃত্তি বারিপোতা গ্রামের পারভেজ আলম এ সংবাদদাতাকে জানান, নাসির উদ্দীনের স্ত্রী ও তিন ছেলে। তারা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা না তবে তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। ঘটনার দিন থেকে নাসির উদ্দীনকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার স্ত্রী লায়লা খাতুন গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শার্শা থানায় স্বামী নিখোঁজের একটি সাধারণ ডাইরি করেন।

তিনি আরো জানান, শার্শা থানার এসআই রতন কুমার দেবনাথ ঘটনাটি তদন্ত করার সময় বেনাপোল ফায়ার স্টেশনের একটি চৌকশ দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা উদ্ধার করতে না পেরে ফিরে যাওয়ার পর খুলনা থেকে ডুবুরি এনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সকাল ১০ টায় কচুরিপানার তলদেশ থেকে নাসির উদ্দীনের লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে দেয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলি রেজা, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement