খুলনায় চাঁদাবাজি মামলায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনের কারাদণ্ড
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৩০, আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৫৯
খুলনার আলোচিত চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদলতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কনস্টেবল মোল্লা মেসবাহ উদ্দিন (পলাতক), কনস্টেবল মো: ফরহাদ আহমেদ, কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান (পলাতক), আরমান শিকদার জনি ও মো: বায়েজিত। উল্লেখিত কনস্টেবলরা খুলনা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দৌলতপুর বি এল কলেজের দ্বিতীয় গেটের সামনে শান্তি রানী বিশ্বাসের চায়ের দোকানে ওই আসামিরা মো: শাহরিয়ার রিন্টু ও আবু ইছহাক নামে দুই ব্যক্তিকে আটকে রাখে। এ সময় আসামি মেজবাউদ্দিন নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। দর কষাকষির একপর্যায়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে এলাকাবাসী ঘটনাটি দৌলতপুর থানাকে জানালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করে।
চাঁদাবাজির অভিযোগে দৌলতপুর থানার এসআই কাজী বাবুল হোসেন বাদি হয়ে তিনজন পুলিশ সদস্য ও তাদের সহযোগী দু’জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন (যার নং ১১)। ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো: বাবলু খান তাদের পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা