খুনিদের চেহারা সহ্য করতে পারবেন না, তাই আদালতে যাবেন না আবরারের মা
- কুষ্টিয়া ও কুমারখালী সংবাদদাতা
- ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৬, আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৮
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ রোববার দুপুর ১২টায় ঘোষণা করা হবে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। কিন্তু মা রোকেয়া খাতুন আদালতে যাবেন না। কারণ ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে যারা তাদের চেহারা সহ্য করতে পারবেন না তিনি।
আবরার ফাহাদ হত্যার দুই বছর দুই মাস পর আজ রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করবেন।
দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই মামলার সব আসামির মৃত্যুদণ্ড চায় আবরারের পরিবার।
রায় ঘোষণা শুনতে গতকাল শনিবারই আবরারের বাবাসহ অন্য আত্মীয়রা কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় গেছেন।
তবে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন কুষ্টিয়ার বাসাতেই থাকবেন। খুনিদের চেহারা সহ্য করতে পারবেন না বলে আদালতে যাবেন।
আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ঢাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাড়িতে থেকেই রায় শুনবেন।
আবরারের মা সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করলে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধারী শিক্ষার্থীদের এভাবে চলে যেতে হবে না।
তিনি বলেন, ওদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে। আজ আমার ছেলে গেছে, কাল আরেক মায়ের কোল খালি হবে। আমার মতো আর কোনো মায়ের যেন এমন কষ্ট না হয়।
চোখের পানি মুছতে মুছতে রোকেয়া খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, আমার ছেলেকে ওরা গুলি করে মারতে পারত, তাহলে ওর এত কষ্ট হতো না।
মামলায় আরো আসামি হওয়া দরকার ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, আশপাশের রুম থেকে ফাহাদের নির্যাতনের খবর জেনেও তারা কেন শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষকে জানায়নি? বিষয়টি জানালে এই নির্মম অত্যাচার ও মৃত্যু হতো না।
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে ভুলতে পারেনি কুষ্টিয়ার সহপাঠীসহ প্রতিবেশীরা।
তারা বলেন, আমাদের আবরারকে যে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে তা ভুলিনি। আমরা চাই সব আসামির ফাঁসি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা