চুয়াডাঙ্গায় দিনে-দুপুরে ছিনতাইয়ের শিকার স্কুলশিক্ষিকা
- হুসাইন মালিক, চুয়াডাঙ্গা
- ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩১, আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩৫
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ায় আবারো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়ির সামনে থেকে দিনে-দুপুরে এক স্কুলশিক্ষিকা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলশিক্ষিকার দুটি মোবাইল ফোন, নগদ টাকাসহ তার ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে ওই ছিনতাইকারী।
ঘটনার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করলেও ছিনতাইকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা নাজমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ছিনতাই ঘটনার সত্যতা শিকার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ জানায় ছিনতাইকারীকে আটকে অভিযান চলছে।
এ ঘটনার পরপরই সিসি ক্যামেরা থেকে ছিনতাইকারী শনাক্ত হলেও তাকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ওই ছিনতাইকারী একটি পাখিভ্যানযোগে পালিয়ে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষিকা নাজমা খাতুন জানান, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসেছিলাম। পরে আমার ওই রোগীকে ডাক্তার দেখিয়ে হাসপাতালের পাশেই অবস্থিত আমার বড় আপা-দুলাভাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথিমধ্যে এক ছিনতাইকারী আমার ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এ সময় আমি তার পিছন পিছন দৌড়েও তাকে ধরতে পারিনি। আমার ভ্যানিটি ব্যাগে একটি স্মার্টফোন, একটি বাটন-ফোন ও প্রায় সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজারের মতো টাকা রয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি।’
স্থানীয় সাংবাদিক শামসুজ্জোহা রানা জানান, ‘আমি আমার বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে এক নারীর শোরগোলের আওয়াজে দ্রুত বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসি। এ সময় ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে জানাই।’
ছিনতাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এখনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনা শুনেছি, ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।’
এদিকে, দিনে-দুপুরে ছিনতাই ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ গত দু’দিন আগে গভীর রাতে একই এলাকায় এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ল্যাপটপ ও নগদ টাকা লুট করে ছিনতাইকারীরা। এছাড়া বেশ কিছুদিন আগে একই পাড়ায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। তাই একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটতে থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক ও ভয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা