ঝিনাইদহে ইজিবাইকচালক হত্যায় গ্রেফতার ৬

ঝিনাইদহে ইজিবাইকচালক ইকরামুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিনতাইকারী দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ঝিনাইদহ, মাগুরা ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জিানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। আসামিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের পীরগোপাল গ্রামের মসলেম উদ্দিন মোল্লার ছেলে তানভীরুল ইসলাম নাইম (২৩), কাশিপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জাকির হোসেন (২৭), সদর উপজেলার চান্দেরপোল গ্রামের আব্দুল বারেক বিশ্বাসের ছেলে শামিম হোসেন (২৪), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রাশেদ আলী (২৬), মাগুরা শালিখা উপজেলার ছান্দাড়া গ্রামের আরজ আলী মণ্ডলের ছেলে বাপ্পি হোসেন (২৬), কাতলী গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে সাগর মোল্লা ওরফে সৈকত (৩১)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, এরা ইজিবাইক চুরির একটি সংঘবদ্ধ দলের সদস্য। বিভিন্ন সময় এরা জেলা ও জেলার বাইরে ইজিবাইক চুরির ঘটনায় জড়িত। গত ১২ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের ইকরামুল ইসলামের ইজিবাইক ভাড়া নেয় আসামিরা। পরে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে ঘুমের ওষুধ মেশানো মদ খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করে গলা কেটে হত্যা করে।

তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের ৮ দিন পর গত ২০ অক্টোবর ইকরামুলের পঁচা-গলা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছিনতাই ইজিবাইকটি মাগুরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ছয়জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর ইজিবাইকচালক ইকরামুল নিখোঁজ হন। নিহতের পরিবার থেকে সদর থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে নিখোঁজের ৮ দিন পর ১৯ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের মাঠ থেকে ইকরামুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।