২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এবার চুয়াডাঙ্গায় ‘লকডাউন’

- ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবার চুয়াডাঙ্গার সদর পৌরসভা ও আলুকদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে এ লকডাউন কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত এ লকডাউন বলবৎ থাকবে। গতকাল শনিবার আয়োজিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম সরকার।

এসময় তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে নিতে ২০ জুন (রোববার) সকাল ৬টা থেকে ২৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর এলাকা এবং আলুকদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় এ লকডাউন করা হবে। এসময় সকল ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে জরুরি পরিসেবার আওতাধীন পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। একইসাথে ওই এলাকায় সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। আর ওষুধের দোকান খোলা থাকবে সবসময়।

লকডাউন মানাতে এলাকাগুলো তদারকি করবে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় লকডাউনের প্রভাবে কর্মহীনদের মধ্যে সরকারিভাবে খাদ্য-সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

জরুরি এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিকায়ক লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিনসহ জেলা কমিটির সদস্যরা।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ১১ হাজার ৭৭৬টি, প্রাপ্ত ফলাফল ১১ হাজার ৩১৫টি, পজিটিভ ২ হাজার ৫৯১ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৫৭১ জন করোনাক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২ জন, আলমডাঙ্গায় ৫৬ জন, দামুড়হুদায় ২২৯ জন ও জীবননগরে ৮৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৫১৯ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭৩ জন, আলমডাঙ্গায় ৫০ জন, দামুড়হুদায় ২০৮ জন ও জীবননগরে ৮৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ১৮ জন, আলমডাঙ্গার ৫ জন, দামুড়হুদার ১৯ জন ও জীবননগরের ৬ জন জনসহ মোট ৪৮ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৮২ জনের। এরমধ্যে সদর উপজেলার ২৭ জন, আলমডাঙ্গায় ১৭ জন, দামুড়হুদায় ২৩ জন ও জীবননগরে ৬ জনসহ ৭৩ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন রয়েছে অন্য চারজন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রেরণকৃত ৪৬১টি নমুনার ফলাফল এখনো পেন্ডিং রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement