শাপলা ক্লিনিকে আবারো ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর
- পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা
- ১৯ জুন ২০২১, ১৮:১৭
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসদরে অবস্থিত শাপলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় আবারো আবু সুফিয়ান (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যুর এ অভিযোগ উঠেঠে। অভিযোগের পর ক্লিনিকটি সিলগালা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
শনিবার সকালে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় স্বজনরা শিশুটির লাশ নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় স্থানীয়রাও বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে থানা পুলিশ অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্লিনিকের বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়।
এ সময় তিনি ক্লিনিকটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকটি সিলগালার নির্দেশ দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানকার পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
ঘটনার শিকার শিশুর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, দাকোপের গড়ইখালী এলাকার আব্দুস সালাম তার ছেলে শিশু মো: আবু সুফিয়ানকে পেটে ব্যাথার সমস্যা নিয়ে শুক্রবার সকালে ক্লিনিকটিতে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, তার অ্যাপেন্ডিস হয়েছে। জরুরী অপারেশন করাতে হবে। এরপর তাকে অপারেশন করাতে ওইদিন সকালে তাকে ভর্তি করান। বিকেল ৫ টার দিকে ডাক্তার ফারুক এসে অপারেশন করেন। কিন্তু এর পর আর জ্ঞান ফেরেনি আবু সুফিয়ানের।
শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম জানান, সারা রাতেও তার জ্ঞান না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এ সময় তারা ক্লিনিকের ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা দ্রুত সুফিয়ানকে খুলনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মূলত আমার ছেলেটি তখনেই মারা যায়। এরপরও তারা মৃত অবস্থায় তাকে গাড়িতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করে।
বিষয়টি স্থানীয়রা বুঝতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে বাধা দেয়। ঘটনার পর থেকে মৃত ছেলেকে নিয়ে তার স্বজনরা ক্লিনিকের পাশে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে স্থানীয়রা তাতে যোগ দেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এরপর পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খাইলদ হোসেন সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্লিনিকের কোনো বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকটি সিলগালার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে শাপলা ক্লিনিকের মালিক তাপস কুমার মন্ডলের মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পাইকগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) এই ক্লিনিকের মালিককে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা