১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুষ্টিয়া পুলিশের গুলিতে নিহত ৩, মামলা দায়ের

কুষ্টিয়া পুলিশের গুলিতে নিহত ৩, মামলা দায়ের - ছবি- নয়া দিগন্ত

কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রী আসমা, স্ত্রীর সন্তান রবিন ও স্ত্রীর কথিত প্রেমিক শাকিলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত শাকিলের বাবা মোজবার রহমান রোববার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়কে। থানা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

অপর দিকে, ট্রিপল মার্ডারে জড়িত এএসআই সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

স্ত্রীসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ সৌমেন রায়কে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানা হেফাজতে রয়েছেন।

এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে শিশুসহ তিনজনকে হত্যা করেন পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়। লোমহর্ষক এই হত্যাটি কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে হয়। স্থানীয়রা ঘাতক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘাতক প্রথমে স্ত্রী, পরে স্ত্রীর প্রেমিক ও সব শেষে শিশু রবিনকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেন। পরে পাশের বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিলেও জনতার হাত থেকে রক্ষা পাননি ঘাতক। তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে দেয়। দিনে দুপুরে এভাবে হত্যার ঘটনাটি এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। একইসাথে সংশ্লিষ্ট পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

এলাকাবাসী জানায়, বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড় মসজিদের পাশে পাঁচ বছরের শিশু সন্তান রবিনকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মা আসমা খাতুন (২৫)। পাশে ছিলেন আসমার কথিত প্রেমিক বিকাশে কর্মরত শাকিল (৩০) ও আর আসমার তৃতীয় স্বামী পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই সৌমেনের হাতে থাকা সরকারি পিস্তল আসমার মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করলে আসমা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরই আসমার প্রেমিক শাকিলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আরেকটি গুলি করলে তিনিও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ ও মায়ের রক্তাক্ত অবস্থা দেখে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে শিশু সন্তান রবিন। এ সময় অবুঝ শিশু রবিনকে লক্ষ করে তিন থেকে চারটি গুলি করলে সেও ঘটনাস্থলেই নিথর হয়ে পড়ে থাকে।

লাশের ময়নাতদন্তের পর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আসমার মাথা ও গলায় দু’টি গুলি চিহ্ন পাওয়া গেছে। একইভাবে শাকিলের মাথা ও ডান পায়ের হাঁটুতে গুলি করা হয়। আর শিশু রবিনের শরীরেও দু’টি গলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রত্যেকের শরীরেই একপাশ থেকে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে বলে বলে ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement