খুলনা নগরীর কিছু এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ
- খুলনা ব্যুরো
- ০২ জুন ২০২১, ১৮:৩৪, আপডেট: ০২ জুন ২০২১, ১৮:৩৬
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরাধে আপাতত খুলনায় লকডাউন নয়। তবে শুক্রবার থেকে মহানগরীর তিন থানার এলাকায় এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। থানাগুলো হচ্ছে খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর। এসব এলাকায় সকল দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। পরে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্তটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেন।
সভায় জানানো হয়, যেভাবে জাতীয় পত্রপত্রিকায় খুলনাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে বাস্তব তথ্যের মিল নেই। ফলে খুলনায় লকডাউন দেয়ার মতো এলার্মিং পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। কিন্তু সার্বিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও জনসমাগমের স্থান বিবেচনায় নিয়ে খুলনা মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর থানা এলাকায় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল দোকান, কাঁচাবাজার ও জনসমাবেশের স্থান ৪ জুন থেকে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। একইসাথে রূপসা উপজেলাসহ খুলনা মহানগরীতে সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ রাখা, হোটেলগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও যত্রতত্র একাধিক লোকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেবে। এ সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা ও প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে।
সভায় জেলা সিভিল সার্জন দফতরের পক্ষ থেকে খুলনা জেলা ও মহানগরীর সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর সদরে করোনা সংক্রমণ হার শতকরা ৩৫ ভাগ, খালিশপুরে ২৫ ও সোনাডাঙ্গাতে এই হার শতকরা ১৭ ভাগ। রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮ ভাগ। কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ। এ ছাড়া অন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার নিম্নগামী।
সভায় ঢাকা থেকে জুমে অংশগ্রহণ করেন সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মো: কামাল হোসেন ও খুলনা থেকে বিভাগীয় কমিশনার মো: ইসমাইল হোসেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: রবিউল হাসান, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়েত হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মুন্সী মো: রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মেহেদী নেওয়াজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: ইকবাল হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইউসুপ আলী প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা