লকডাউনেও বেনাপোলে আমদানি-রফতানি সচল
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ১৬ মে ২০২১, ১৪:৫১
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টানা ১৫ দিনের লকডাউন আজ রোববার সকালে শুরু হয়েছে। এ লকডাউন থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। লকডাউনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রয়েছে। স্বাভাবিক রয়েছে হাইকমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে যাত্রী চলাচল। তবে দু’দেশে 'লকডাউন' থাকার কারণে যাত্রী চলাচল কম।
পেট্রাপোল স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপক আকার ধারণ করায় আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন দিয়েছে। টানা এ লকডাউনে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকান পাট, সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দু’দেশের বাণিজ্য সচল রাখা হয়েছে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আমাদের দেশে দ্বিতীয় দফা সীমান্ত লকডাউন দেয়ার সময় নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল যে সীমান্ত লকাডাউন থাকলেও দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে। আজ ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার টানা ১৫ দিনের লকডাউন দিলেও বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থবিধি মেনে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
ফলে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য লোড-আনলোডসহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
বেনাপোল চেকপোষ্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, বেনাপোল সীমান্ত আগে থেকেই লকডাউন রয়েছে। তারপরও হাইকমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে দু’দেশে আটকে পড়া যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আজ থেকে লকডাউনের কারণে যাত্রী চলাচল অনেক কম। সকাল থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত ৫ জন যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা