কুমারখালীতে ভিক্ষুককে পিটিয়ে হত্যা
- সোহাগ মাহমুদ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
- ১৫ এপ্রিল ২০২১, ২০:৩৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আবুহার মল্লিক নামের (৮০) এক ভিক্ষুককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার সদকী ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ভিক্ষুক ওই গ্রামের মৃত ফকির মল্লিকের ছেলে। তিনি এলাকায় ভিক্ষা করে জীবিকা সংসার চালাতেন।
নিহতের নাতী ছেলে শিপন মল্লিক ও প্রতিবেশীরা জানান, গত সোমবার দুপুরে আমার দাদা আবুহার মল্লিক নিজের কেনা জমিতে ঘর নির্মাণ করছিলেন। এ সময় দরবেশপুর গ্রামের সোহেল প্রামাণিক, কামাল প্রামাণিক, রাসেল, আলামিনসহ আরো কয়েকজন এসে ঘর তৈরিতে বাধা দেয়। এ সময় তারা আবুহার মল্লিককে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালে দু’দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে আসতেই তিনি মারা যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী বলেন, সোহেল প্রামাণিক সমাজের প্রভাবশালী, তার একটা গ্যাং আছে। সব সময় মানুষের উপর অত্যাচার করলেও ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বলে না। ঘটনার দিন সোহেল প্রথমে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর সবাই মিলে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে আবুহার মল্লিককে।
এলাকাবাসী আরো জানান, ওই বৃদ্ধ অনেক আগেই জমি কিনেছিলেন। সোহেলরা ওই জমি পুনরায় কিনে জোর পূর্বক দখল করতে গিয়েই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল প্রামাণিক বলেন, স্কুলের জমি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে মারামারি হচ্ছিল। খবর পেয়ে মারামারি শেষে সেখানে গিয়েছিলাম। আমি মারিনি।
তিনি আরো বলেন, এলাকায় রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, শুনেছি জমি সংক্রান্ত জেরে কিল, ঘুষি খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আবুহার মল্লিক। সকালে রিলিজ নিয়ে বাড়িয়ে গেলে তিনি মারা যান।
পুলিশ নিহত ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা