জনপ্রিয়তা ও সেবাই কাল হলো নূর আলীর! বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
- যশোর অফিস
- ০৮ মার্চ ২০২১, ১৯:২৭
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাঢ়া গ্রামের ইউপি সদস্য নূর আলী শেখের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজন ও স্থানীয়দের দাবি, জনপ্রিয়তা ও জনসেবার কারণেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে তাকে। তারা জানান, ‘আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে তার দলের লোকজনই তাকে হত্যা করেছে ক্ষমতার জন্য।’
পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে। তবে পুলিশের ধারণা, ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে।
শুভরাঢ়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নূর আলী শেখ ও তার ছেলে রোববার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় বাবুরহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় বাজারের অদূরেই অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাদের উদ্দেশে গুলি চালায়। গুলি নূর আলীর মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার ছেলে ইব্রাহিমের শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হওয়ায় তাকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নূর আলীর এমন মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে তার বাড়িতে। বারবার কান্না করে মুর্ছা যান স্ত্রী, মা, ভাই-বোনসহ অন্য স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশী ও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই বাড়িতে আসা লোকজন।
স্বজন ও স্থানীয়দের দাবি, ‘আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে একই দলের প্রতিপক্ষের লোকজন মোটা অংকের টাকা দিয়ে নূর আলী শেখকে হত্যা করিয়েছে।’
নিহতের ভাই রুহুল আমিন শেখ বলেন, ‘আমার ভাই জনসেবা করতে গিয়ে খুন হলো। ও কালকে সকালেও আমাকে বলেছে, কিছু লোক ওকে খুন করতে চায়। আমি ভাইকে সাবধানে চলতে বলি। ওই আমার ভাইয়ের সাথে শেষ কথা। মুসা গাজী মেম্বার পদে দাঁড়াতে চান। তিনি আমার ভাইকে খুন করিয়েছেন।’
নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যকারীদের ফাঁসি চাই।’
তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিন বাবু বলেন, ‘নূর আলী শেখ অত্যন্ত জনপ্রিয় মেম্বার ছিলেন। তবে ঘটনার সময় নূর আলী শেখের ছেলে আহত হয়েছেন। তিনি সুস্থ হলেই বোঝা যাবে কারা এর সাথে জড়িত।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতভর পুলিশ পুরো এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে জেলে নেয়া হয়েছে। আশা করছি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের উপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। তবে সেটা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতা।’
উল্লেখ্য, দুই পুত্রসন্তানের জনক নূর আলী শেখ এলাকায় একজন সফল কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা