ভারতে ২ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল বাংলাদেশী ৩৮ কিশোর-কিশোরী

ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে অবৈধভাবে ভারত গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে ৩৮ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।

দেশে ফিরে আসা ওই ৩৮ জনের মধ্যে ১০ জন ছেলে ও ২৮ জন মেয়ে রয়েছে। সবার বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তারা ফরিদপুর, বরিশাল, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী ডেপুটি হাই কমিশনার শামীমা ইয়াসমিনও তাদের সাথে দেশে এসেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আসায় তারা ভারতে যায়। পরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। দুই থেকে চার বছর কারাভোগের পর আজ তারা দেশে ফিরে এসেছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ওই কিশোর-কিশোরীরা পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তারা জেলহাজতে যায়। ভারতের রেসকিউ, লিলুয়া ও সুকন্যা ফাউন্ডেশন নামের এনজিও সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। সেখানে দুই থেকে চার বছর থাকার পর দেশে এসেছে, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে এনজিও সংস্থা ১৭ জন, নারী আইনজীবী সমিতি সাত ও মানবাধিকার সংস্থা রাইটস যশোর ১৪ জনকে নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।