২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়ে যা বললেন কুষ্টিয়ার সেই এসপি

হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়ে যা বললেন কুষ্টিয়ার সেই এসপি - ছবি - সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই বিচারককে তিনি চিনতে পারেননি। তাই অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ভুল হবে না বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার এ আবেদন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেছেন। সোমবার তাকে সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে। রোববার এ আবেদনের ওপর বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সাথে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত দুর্ব্যবহার করেন।

এ ঘটনায় পর দিন এসপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই বিচারক নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন। এর অনুলিপি গত ১৯ জানুয়ারি আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরেও পাঠানো হয়। এ ঘটনা ২০ জানুয়ারি বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আসার পর আদালত এক আদেশে ওই এসপিকে তলব করেন।

আগামী ২৫ জানুয়ারি এসপিকে হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে বিচারকের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসাথে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। এ আদেশের পরই এসপি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিচার বিভাগের জন্য আমার মনে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখানোর কথা দূরে থাক, বরং বিচার বিভাগের দেয়া কাজে নিয়োজিত হতে পারলে নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। এ ঘটনায় আমি মনের গভীর থেকে অনুতপ্ত। আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এছাড়া ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা স্থানীয় উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের কাছে ওই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করায় আদেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলীকে তুলে নিয়ে তাকে থানায় আটকে রেখে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাইকোর্ট গত ২১ জানুয়ারি এক আদেশে ওই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে আইজিপির প্রতি নির্দেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement