শিক্ষার্থীদের দাবিতে ‘একাত্মতা’ : খুবির এক শিক্ষক বরখাস্ত ও দু’জন অপসারণ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ২২:৩১
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দেয়ার অভিযোগ এনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একজন শিক্ষককে বরখাস্ত ও দু’জনকে চাকরি থেকে অপসারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।
শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক হলেন বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো: আবুল ফজল। অপসারণ হওয়া দুই শিক্ষক হলেন ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম।
সিন্ডিকেটের ২১২তম সভায় পূর্ববর্তী ২১১তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত এবং তিন শিক্ষককে দেয়া আত্মপক্ষ সমার্থনে জবাব নিয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা করা হয়। শেষে সিন্ডিকেট তাদের চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল গণমাধ্যমকে জানান, এই ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন থেকে শুরু করে কোনো কার্যক্রমেই তাদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলেন, সেটাও তাদের দেয়া হয়নি। তারা তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন, সেটাও আমলে নেয়া হয়নি। সবমিলিয়ে প্রশাসন যে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের কাগজপত্র হাতে পেলে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি পাঁচ দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। বেতন-ফি কমানো, আবাসনসঙ্কট সমাধানসহ পাঁচ দফা দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের। এর প্রায় ৯ মাস পর গত ১৩ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের ‘উসকানি’দেয়ার অভিযোগে ওই তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ওই চিঠির জবাব দেয়া হলে গত ৯ নভেম্বর আরেকটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ২৩ নভেম্বরের ওই চিঠি জবাব দেয়া হলে ২৪ নভেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবারো চিঠি দিয়ে ১০ ডিসেম্বর হাজির হয়ে প্রতিবেদন দেয়ার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ওই তিন শিক্ষককে ডাকা হয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে আবারো তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ১০ জানুয়ারি ওই চিঠির জবাব দেন শিক্ষকেরা। এরপর ১৮ জানুয়ারি সোমবার সিন্ডিকেট করে চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় প্রশাসন। গত মঙ্গলবার সকালে চাকরিচ্যুত ও অপসারণ করার আগের চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ ওই তিন শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। ২১ জানুয়ারি দুপুর ২টার মধ্যে ওই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা