২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চিকিৎসা দিতে ‘গড়িমসি’ : ডাক্তার, ওয়ার্ড বয় ও নার্সের ওপর রোগীর স্বজনদের হামলা

-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোগীর স্বজনদের হামলায় হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, ওয়ার্ড বয় ও নার্স আহত হয়েছেন। আহত ওয়ার্ড বয় শিশির কুমার ঘোষের (৬০) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার ওই ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত রোগীর স্বজন তুষার ইমরানকে (২২) গ্রেফতার করে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জীবননগরের হাসাদহ ইউনিয়নের মৃত মাহতাব আলীর ছেলে লিটন মিয়া (৫০) হার্টের সমস্যা নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে তা পুনরায় দিতে দেরি হওয়ায় রোগীর লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

এ সময় হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মেহেদী, ওয়ার্ড বয় শিশির কুমার ঘোষ ও নার্স রানীর সাথে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রোগীর স্বজনেরা তাদের ওপর হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিটনের স্বজনদের দাবি, তারা হাসপাতালে কারো ওপর হামলা করেনি। তবে চিকিৎসা দিতে গড়িমসি করায় তাদের সাথে ডা: মেহেদী ও ওয়ার্ড বয় শিশিরের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু বলেন, লিটনকে রাতে ভর্তির পর তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেয়া হয়। কিন্তু রোগীর লোকজন অভিযোগ তোলে অক্সিজেন যাচ্ছে না। এতে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মেহেদী, ওয়ার্ড বয় শিশির কুমার ঘোষ ও নার্স রানীর সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে। ওয়ার্ড বয় শিশির কুমারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ঘটনার পর সিভিল সার্জন ও উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে ও ঘটনার সাথে জড়িত তুষার ইমরান নামে একজনকে গ্রেফতার করে তাকে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement