২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জীবননগরে ব্যাংক লুট : রাজিব-রিংকু গ্রেফতার, উদ্ধার হয়নি লুটের টাকা

চুয়াডাঙ্গা - ছবি : নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারের সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার সাত দিন পার হলেও উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া টাকা।

এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশাবুল হককে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের দু’দিন পর থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের দাবি হয়রানি করতেই তাদেরকে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরদিকে ঘটনার পর থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকরা রয়েছেন আতঙ্কে। দিনে-দুপুরে তিনজন দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পণবন্দী করে টাকা লুটের ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম, পিবিআই ও ডিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আলামত সংগ্রহের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে তদন্ত তৎপরতা শুরু করেছেন।

গত ১৫ নভেম্বর সোয়া ১টার দিকে তিনজন দুর্বৃত্ত মাথায় হেলমেট, মুখে মাস্ক ও শরীরে পিপিই পরিহিত অবস্থায় সোনালী ব্যাংকের উথলী শাখায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পণবন্দী করে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। দুর্বৃত্তরা মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে নগদ আট লাখ ৯২ হাজার ৯০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনার দিন রাতেই তিন অজ্ঞাতনামা দৃর্বৃত্তের নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রাহক ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ব্যাংকে ডাকাতির পর লেনদেন স্বাভাবিক হলেও গ্রাহকের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে।

শাখা ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লেই আতঙ্কিত হচ্ছি। পুলিশ সন্দেহভাজন রাজিব (২৫) ও রিংকু (২৯) নামের দু’জনকে আটক করলেও এখনো পর্যন্ত টাকা উদ্ধার করতে পারেনি।’

এদিকে ঘটনার পরের দিন দুপুরের দিকে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হকের নেতৃত্বে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবগুলো টিম কাজ করছেন। খুব শিগরই অপরাধীরা ধরা পড়বে এবং টাকা উদ্ধার হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার দেহাটি নিকারীপাড়ার রাজিব ও রিংকু বিশ্বাস।

গ্রেফতারকৃত রাজিবের বাবা সাইদুল বিশ্বাস বলেন, ‘আমার ছেলে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত। তাকে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমার ছেলে সারাদিন আবোল-তাবোল বকাবকি করে। সে কীভাবে ব্যাংক লুটের সাথে জড়িত হলো? আমার ছেলে প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার এবং হয়রানি করতেই আমার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ রাজিব ও রিংকু নামের দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগরই লুট হওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে।


আরো সংবাদ



premium cement