২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতন, শিক্ষক গ্রেফতার

আহত ছাত্র নাসিম - ছবি : নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর দারুল উলুম কওমি মাদারাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নাসিমকে (৯) পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে পুলিশ মাদরাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে অবস্থিত কাশিপুর দারুল উলুম মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র নাসিম। নাসিম মাদরাসায় অনুপস্থিতির অপরাধে তাকে বুধবার সকালে ওই মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল মাজেদ তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আটকে রাখেন। পরে দুপুরের দিকে পালিয়ে যেতে চাইলে আবারো তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন। ঘটনাটি প্রতিবেশীরা জানার পর উত্তেজিত জনতা মাদরাসাটি ঘিরে ধরে অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তি দাবি করেন। ওই পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক মাজেদ ও শাহিনকে গ্রেফতার করেন। নির্যাতনের শিকার ছাত্র নাসিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্র জানায়, ‘আমি বুধবার সকালে মাদরাসায় গেলে ক্লাসে মাজেদ হুজুর আমাকে বলে তুই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকিস কেন বলে আমাকে মারধর শুরু করেন পরে আটকিয়ে রাখেন। যোহরের নামাজের সময় পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহিন হুজুর আমাকে আবার মারতে থাকেন। আমাকে ছুড়ে ফেলে দিলে বেঞ্চের কোণায় লেগে আমার হাত ভেঙে যায়। পরে সন্ধ্যার সময় লোকজন আমাকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করেন।’

নাসিমের বাবা আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে নাসিম মাদরাসায় না যাওয়ার কারণে দুই শিক্ষক মারপিট করে তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এভাবে ছোট মানুষকে মারা কী ঠিক হয়েছে?

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল কাদের বলেন, ক্লাসে অনুপস্থিতির অপরাধে এমন নিষ্ঠুর নির্যাতন শিক্ষকদের কাছে আমাদের কারো কাম্য নয়।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মাজেদ ও শাহিন বলেন, নাসিম প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে, আবার মাদরাসায় এলেও কিছু সময় পর পালিয়ে যায়। ওই কারণে তাকে মারধর করা হয়। তবে মারটা একটু বেশি হয়ে গেছে। এমন ভুল আর ভবিষ্যতে হবে না।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত মাদরাসাছাত্র নাসিমের বাবা আলাউদ্দিন ঘটনার ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা রাতেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করি পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করি।


আরো সংবাদ



premium cement