২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যৌতুক না দেয়ায় গৃহবধূকে হারপিক খাইয়ে হত্যাচেষ্টা!

-

মাগুরার মহম্মদপুরে যৌতুক না দেয়ায় এক গৃহবধূকে হারপিক খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরপর দুটি অপারেশন করা হলেও গৃহবধূ জাহানারা খাতুন (২২) বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

জাহানারা উপজেলার রায়পাশা গ্রামের আসাদ তালুকদারের মেয়ে।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে দীঘা গ্রামের আহম্মদ মোল্যার ছেলে বিল্লাল মোল্যার সাথে জাহানারার বিয়ে হয়।

গৃহবধূর বাবা আসাদ তালুকদার অভিযোগ, যৌতুকের জন্য নিয়মিত চাপ দেয়া হতো জাহানারা খাতুনকে। বিদেশে চার বছর থাকার পর করোনার সময় বিল্লাল বাড়ি এসে বেকার হয়ে পড়েন। তিনি গত তিন মাস আগে অটোরিকশা কেনার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এর আগে বিদেশ যাওয়ার সময় আরো এক লাখ টাকা নিয়েছিল বিল্লাল। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় নির্যাতনের শিকার হতে হলো আমার মেয়েকে। আরো এক লাখ টাকা চেয়ে গত ১৫ জুন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে জাহানারা রাগের বশে গালিগালাজ করলে তার শ্বশুর ও শাশুড়ি জোরপূর্বকভাবে হারপিক খাওয়ায়। এ ঘটনায় তারা পুলিশের কাছে বিচার চেয়েছেন।

সরেজমিনে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে দেখা যায়, ১৫ জুন হারপিক পয়জনিং খাওয়া অবস্থায় জাহানারাকে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে দুই মাস ধরে তার পেটে ব্যাথা ও দিনে তিন থেকে চারবার বমি হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, তার খাদ্যনালীর রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১৫ আগস্ট অপারেশনের মাধ্যমে তার খাদ্যনালীর নতুন পথ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ইনফেকশন শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ২ সেপ্টেম্বর আবারো ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে আরো একটি অপারেশন করা হলেও তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, পুলিশ বলছে, হত্যার চেষ্টা নয়, গৃহবধূ নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। যেহেতু তিনি মৃত্যুশয্যায় এজন্য বিষয়টি অভারলুক করা হচ্ছে।’

মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। যেহেতু মেয়েটি মারা যাচ্ছে এ জন্য তার বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তার পরিবার যদি নির্যাতনের অভিযোগ দিতে চায় তবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়ে মামলা করতে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement