মায়ের পর মেয়ের মৃত্যু, খবর পেয়ে মারা গেলেন বাবাও
- কুষ্টিয়া সংবাদাতা
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৯
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় মায়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে মারা গেছেন মেয়ে। এ খবর শোনার ঘণ্টাখানেক পর মারা গেছেন বাবাও। পরপর তিনজনের মৃত্যুতে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একই পরিবারের ওই তিনজন হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবাইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া গ্রামের লালন মল্লিক (৭০), লালন মল্লিকের স্ত্রী আনজেরা খাতুন (৬৫) এবং লালন মল্লিকের মেয়ে ও মক্কেল আলীর স্ত্রী আঙ্গুরী খাতুন (৪০)।
লালন মল্লিকের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (৪৫) ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কেননা সারাটাদিন কেটেছে তার গোরস্থানে। রাতে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া মাকে সকালে দাফন করার পরপরই শুনতে পান এক বোনও মারা গেছেন। বোনের মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর বাবার মৃত্যু হয়। মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে বাড়ির তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মিরাজুলসহ পরিবার ও এলাকার মানুষেরা শোকাহত হয়ে পড়েন।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাত পৌণে ১১টার দিকে বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান লালন মল্লিকের স্ত্রী আনজেরা খাতুন। মায়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে আঙ্গুরী খাতুন। নিজ বাড়িতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে বড় মেয়ে মারা গেছেন এ খবর শুনে নিজ বাড়িতেই বেলা সাড়ে ১১টায় মারা যান লালন মল্লিক। মাত্র ১৩ ঘণ্টার মধ্যে মা, মেয়ে ও বাবার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয় লালন মল্লিকের স্ত্রী আনজেরা খাতুনকে, দুপুর ২টায় পৌরসভার নওয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয় তার মেয়ে আঙ্গুরী খাতুনকে এবং বিকেল ৫টায় গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা লালন মল্লিককে।
ধুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা