২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চৌগাছায় আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে ছাত্রলীগ নেতা

চৌগাছায় আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে ছাত্রলীগ নেতা -

যশোরের চৌগাছায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। বর্তমানে ওই ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন মর্মে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।

স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন রোববার যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার (সোলাইমান-সালমার) ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক (১১) উপস্থিত ছিল। এভাবে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করা নেতা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে কীভাবে সভাপতিত্ব করছেন সেটি নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। তার হুমকিতে জীবন শঙ্কায় আছেন বলে অভিযোগ করে ওই আওয়ামী লীগ নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে সোলাইমান হোসেন দাবি করেন, চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহসভাপতি ছোটদিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে সাদেকুর রহমান পরীক্ষার ফরম পূরণ ও ফিসের টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে আমার বাড়িতে আসত। এভাবে সে আমার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করে। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই আমার শাশুড়ি রাবেয়া খাতুন ও তার দুই ছেলে মুছা ও ইব্রাহিম আমার বাড়ি আসেন। তাদের জন্য বাজার থেকে কেনাকাটা করে ফিরে শুনি ছেলেকে ফেলে সালমা খাতুন ও তার পরিবারের সবাই ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরের সাথে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। এ সময় তারা আমার নগদ তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার সোনার গহনা নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে সোলাইমান হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর আমি স্ত্রীকে ফেরত আনতে শ্বশুরবাড়ি গেলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী সালমা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরের সাথে বিয়ে করে বসবাস করতে থাকে। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আমি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। এরপর আসামি সাদেকুর মামলার খবর পেয়ে আমাকে খুন করার হুমকি দিতে থাকে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রিজ কিনতে কোটচাঁদপুর যাওয়ার সময় সাদেকুর তার সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে আটকায়। এ সময় তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তারা আমাকে মারপিট করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে পরামর্শ দেয়া হয়। পরে আমি ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করি।

তিনি আরো বলেন, এরপর থেকে তারা সিলেটে থাকত। বর্তমানে সাদেকুর আবার চৌগাছায় এসে থাকছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হত্যাসহ হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে করা ব্যক্তি উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বও করছে, এটা কীভাবে সম্ভব বলেও প্রশ্ন রাখেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমান বলেছেন, ২০১৬ সালের প্রথমদিকে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের (সোলাইমান-সালমা) তালাক হয়ে যায়। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আমি সালমাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। আমরা আড়াই বছর সংসার করছি। তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা। আমি তার বউকে বিয়ে করিনি। তালাকপ্রাপ্ত একজনকে আমি বিয়ে করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement
মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন

সকল