২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভৈরবের বুকে কবে নির্মিত হবে স্বপ্নের সেতু?

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভৈরবের বুকে কবে নির্মিত হবে স্বপ্নের সেতু? -

ভারতে গঙ্গার শাখা নদী জলাঙ্গি থেকে ভৈরবের উৎপত্তি। মেহেরপুর জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর নামক স্থানে ভৈরব নদ মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে মিশে গেছে। এক সময়ের তীব্র খোরস্রোতা এই নদের বুকে ছিল উত্তাল টেউ। এই খেয়াঘাটে এপার ওপার নৌকায় পার করতে বুক কেঁপে উঠাতো মাঝি মাল্লার। সেই ভৈরব আজ প্রায় পানি শূন্য। প্রায় পানি শূন্য ভৈরব বর্ষা মৌসুমে ফেঁপে ফুলে উঠে। নদের বুকে উত্তাল ঢেউ তোলা।

সেই ভৈরব নদে জহর মাঝি তিন বছর ধরে এপার ওপার দড়া টেনে নৌকা দিয়ে পারাপার করছে। শুস্ক মৌসুমে সেই ভৈরব হয়ে পড়ে প্রায় পানি শূন্য। মানুষ পারাপার হয় পায়ে হেঁটে ছোট বাঁশের মাচার ওপর দিয়ে।

পাটাচোরা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মো: হুরমত আলী বলেন, ভরা নদের বুকে এক সময় ছিল উত্তাল ঢেউ। মাঝি মাল্লারা পাল তোলা নৌকা নিয়ে চলাচল করতো। খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার করতে মাঝি মাল্লাদের ভয়ে বুক কেঁপে উঠতো। নদীর ওপারে আমাদের জমাজমি বেশি। এই খেয়াঘাটে ওপারের মুখে সেতু করতে নিজেদেও দেড় বিঘা আম বাগান কেটে দিয়ে সেতু তৈরির রাস্তার জন্য ছেড়ে দিয়েছি। বর্ষায় ঘাট বেঘাট হয়ে পানির তীব্র স্রোতে খেয়া পারাপার ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ, গর্ভবতী নারী, মুমূর্ষ রোগীদের নদটি পার হতে দুর্ভোগে পড়ে হাবুডুবু খেতে হয়। শিক্ষার্থীরা পা পিছলে পানিতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন। এই ফেরি ঘাটে সেতু নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর।

গ্রামের আবু তাহের ও শহিদুল ইসলাম বলেন, এই নদের বুকে গজিয়ে উঠা খেয়াঘাট মানেই দুর্ভোগের নাম। এই ফেরিঘাটে সেতুর অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হতে হয় এলাকার মানুষের। বর্ষাকালে এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বিশেষ করে মহিলা ও স্কুলগামী ও মাদরাসাগামী শিশু শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মো: মাহবুব-উল হক বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প পরিচালকের সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। এখন সেতুটির ডিজাইনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement