২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাবনার সেরা রাজা-বাদশা

পাবনার সেরা রাজা-বাদশা - ছবি : নয়া দিগন্ত

পাবনার কোরবানির বাজারে এবার রাজা-বাদশাই সেরা বলে দাবি করেছেন মালিক রিয়াজুল ইসলাম ফকির। তিনি বলেন, আমার ষাঁড় দুটি ওজন, দৈর্ঘ্য এবং জাতভেদে পাবনা জেলাতে সেরা। কোরবানির ঈদ যত এগিয়ে আসছে ক্রেতা ও গরু ব্যবসায়ীদের পেরেসানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরেজমিনে ঈশ্বরদীর চরমিকামারি গ্রামে দেখা যায়, বিশাল আকারের সুদর্শন দো আঁশলা সিন্ধি জাতের দুটি ষাঁড়। গরু দুটির মালিক রিয়াজুল ফকির জানান, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে আমি পাবনার সিটি পশুহাট থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে কিনে আনি। সে সময় গরু দুটি হালকা পাতলা থাকলেও আমরা স্বামী-স্ত্রী গরু দুটিকে সন্তানের মত লালন পালন করেছি। আর আদর করে নাম দিয়েছি রাজা-বাদশা এখন যার যার নাম ধরে ডাক দিলে আমাদের সাড়া দেয়। বর্তমানে একেকটার ওজন প্রায় ২০ মন করে হবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

গরু দুটির দামের ব্যাপারে তিনি জানান, যেহেতু বড় গরুর দাম তুলনামূলক বেশি সে হিসেবে দুটি গরু ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করা যায়।

এবারের কোরবানির প্রস্তুতি বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদীতে এ বছর খামারি ও বাড়িতে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে বিভিন্ন জাতের প্রায় ১৩/১৪ হাজারটি ষাড় গরু, কোরবানির জন্য ছাগল প্রায় ১৫/১৬ হাজার, এ ছাড়া প্রচুর পরিমানে মহিষ ও ভেড়াও রয়েছে খামারিদের কাছে। অন্যদিকে নিদিষ্ট স্থানে পশু জবাই এবং রক্ত মাটিতে পুতে রেখে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মতভাবে কোরবানি দেয়ার জন্য সবাইকে বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

রিয়াজুল ফকিরের ষাঁড়ের বিষয়ে তিনি বলেন, তার ষাঁড় দুটি অবশ্যই অনেক বড় ও দর্শনধারি। কিন্ত পাবনা জেলাতে সবচেয়ে বড় কিনা বলতে পারবো না। কারণ ঈশ্বরদীতে বিভিন্ন খামারির খামারে অনেক বড় বড় গরু রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার বলেন, কোন গরু বড় সেটা এই মুহূর্তে আমি বলতে পারবো না। তবে রিয়াজুল ফকির যদি দাবি করে থাকেন তাহলে রাজা-বাদশা হতে পারে।

গত মঙ্গলবার উত্তর বঙ্গের বৃহত্তম গরু মহিষের হাট ঈশ্বরদীর অরনকোলা পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রজাতির গরু মহিষের আমদানি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ী -ক্রেতা কেউই খুশি না। কারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেনার লোক কম। আর ক্রেতারা বলছেন, দাম চাওয়া হচ্ছে অস্বাভাবিক।

উপজেলার মাজদিয়া থেকে কোরবানির গরু খরিদ করতে আসা সাইফুদ্দিন খান জানান, আমরা যৌথভাবে কোরবানি করবো সে জন্য গরু খরিদ করতে এসেছি। কিন্ত গরুর ওজন অনুযায়ী দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।

এ দিকে ব্যবসায়ী শাহান জানায়, যেহেতু আমরা এলাকার বাসা বাড়ি এবং ক্ষুদ্র খামারিদের কাছ থেকে কিনে আনতে হয়, সেখানে আমরা যেভাবে ক্রয় করি সেভাবে বিক্রি করতে হবে।

তিনি আরো জানান, বাড়িতে ও খামারিরা গরুর ওজনের তোয়াক্কা না করেই তাদের লাভের দিকটা বিবেচনা করে দাম হাকছেন। তাই অনেক সময় আমরা কখনো কিছুটা করতে পারি আবার কখনো লোকসান গুনতে হয়। আবার গৃহস্তদের কখনো দাম চাহিদা অনুযায়ী দেয়া গেলেও পরে সে দামে আর ক্রয় করা যায় না। ফলে চাষীদের অনেক সময় ঈদ মৌসুম পার হলেও গরু বিক্রি হয় না।

এ বিষয়ে ক্ষুদ্র খামারি গোলাম মোস্তফা জানান, আমার তিনটি গরু রয়েছে ৭/৮ মাস পালছি। গরুর দাম এবং খাবারে দাম অনুযায়ী গরুগুলো লাভে বিক্রি করায় মুশকিল হয়েছে। তিনি জানান, গরুর চেয়ে খাবারের দাম যেহেতু বেশি তাই দাম বেশি হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement