খুলনায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে দুই পাটকলশ্রমিক নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
- খুলনা ব্যুরো
- ০৬ জুলাই ২০২০, ১৮:৪২
খুলনায় বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলের দুই শ্রমিক নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাাওয়া গেছে। গত রোববার গভীর রাতে স্টার জুট মিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের আহবায়ক অলিয়ার রহমান এবং প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের উপদেষ্টা নূর ইসলামকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
অলিয়ার রহমানের ছেলে নাইম শেখ জানান, রোববার রাত আড়াইটার দিকে নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামের বাড়িতে কয়েকজন লোক এসে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। তাদের হাতে ওয়ারলেস ও রাইফেল ছিল। আমরা দরজা খুললে তারা বলে আব্বাকে নিয়ে মিলে যাবে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে তুলে গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায়। আমরা থানায় গেলে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, রাতে আমাদের কোনো অভিযান হয়নি। আমরা কিছুই জানি না।
নূর ইসলামের ছেলে মো: জুয়েল জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে কিছু লোক আসে খালিশপুরের বাসায়। তারা বলতে থাকে এই দরজা খুলুন আগুন লেগেছে। তখন আমরা তাদের বলি আপনারা কারা, তারা বলে আমরা ফায়ার সার্ভিসের লোক। দরজা খোলার পর চোখের পলকে তারা বাবাকে নিয়ে চলে যায়। আমরা অনেকভাবে তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করি কিন্তু তারা কোনো পরিচয় দেয়নি।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন বলেন, আমি ফেসবুকে দেখেছি তারা কাল রোববার খালিশপুরে গোপনে মিটিং করেছে মিলের বদলি শ্রমিক ও বাম দলের লোকদের সঙ্গে। মিল বন্ধ নিয়ে যখন সারা দেশের শ্রমিকরা শান্ত তখন তাদের এই মিটিং করার কি দরকার! তবে তাদের কারা ধরে নিয়ে গেছে ও কি কারণে নিয়ে গেছে তা আমি জানি না।
গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, সরকার পাটকল বন্ধের যে চক্রান্ত করেছে তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মধ্যে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা চলছে। এই আন্দোলন যাতে সংগঠিত না হতে পারে তার রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে প্রশাসন দিয়ে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা কোথায় আছে, কেমন আছে তা আমারা এখনও জানতে পারিনি। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি করছি।
এ ব্যাপারে খালিশপুরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সাব্বিরুল আলম বলেন, আমরা কোনো শ্রমিক নেতাকে আটক করিনি। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম, বলেন আমরা কোনো শ্রমিক নেতাকে আটক করিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা