২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শৈলকুপায় জমে উঠেছে কাঁঠালের হাট

শৈলকুপায় জমে উঠেছে কাঁঠালের হাট - ছবি : নয়া দিগন্ত

দেশে কাঁঠাল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে ঝিনাইদহের শৈলকূপা অন্যতম। প্রতি হাটে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১০ থেকে ১৫ ট্রাক কাঁঠাল যায় এখান থেকে। আগের দিনেই বেপারী, পাইকার, আড়তদাররা ভিড় জমান এ উপজেলার হাটগুলোতে। করোনায় কাঁঠালের ভালো দাম না পেলেও বর্তমানে গৃহস্থ ও কাঁঠাল ব্যবসায়ী, চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।

জেলার সবচেয়ে বড় শৈলকূপা উপজেলা সদরের হাটে কাঁঠাল বিক্রি করতে আসা হাতেমপুর গ্রামের চাষি মতিয়ার রহমান জানান, তার ১৫টি কাঁঠালগাছ রয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি ১০০ পিস কাঁঠাল ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।

কাঁঠাল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, এবার প্রতি ১০০ পিস কাঁঠাল সাইজ অনুসারে দুই হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শৈলকূপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুণ্ডু বলেন, শৈলকূপায় ৩৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে কাঁঠালের চাষ হচ্ছে। এসব জমি থেকে পাওয়া যাবে আনুমানিক ৭০ হাজার টন কাঁঠাল।

পাইকারী বাজারে গত বছরের চেয়ে কাঁঠালের দাম শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ কম বলে বেপারিরা জানায়। শৈলকুপা হাটে সপ্তাহে প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের কাঁঠাল কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতি মাসে এ হাটে আনুমানিক কোটি টাকার কাঁঠাল কেনাবেচা হয়ে থাকে।

কাঁঠাল এমন একটি ফল যার কোনো অংশই বাদ যায় না। কাঁঠাল কাঁচা রেধে খাওয়া যায়, পাকা খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠাল দিয়ে হরেক রকম পিঠা তৈরি করা যায়। কাঁঠালের বিচি রেধে খাওয়া যায়। এছাড়া এর বাকল ছাগল-গরু খায়। কাঁঠালের পুষ্টিগুণের মধ্যে রয়েছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিমাম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক ও নায়াসিন। এছাড়াও কাঁঠালে রয়েছে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন যা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী।

এতো পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এই ফলটি এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হলেও নেই কোনো সংরক্ষণের ব্যবস্থা। এই ফলটি যদি সংরক্ষণ করা যেতো তা হলে বছরের অনেক সময়ই গ্রীস্মকালীন এই ফলটি মানুষ খেতে পারতো। কাঠাল চাষী ও ব্যবসীয়দের দাবি এ অঞ্চলে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কাঁঠাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক।


আরো সংবাদ



premium cement