১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাল আত্মসাতের অভিযোগ ডিলারশিপ বাতিল

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান -

খুলনায় ১৪ পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা মূল্যের চাল আত্মসাতের অভিযোগে সরদার মিজানুর রহমান নামের এক ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল হয়েছে। গত সোমবার তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। তিনি টানা চার বছর ধরে এই চাল আত্মসাৎ করে আসছেন।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাসেম ডাবলুর আপন ভাই। বর্তমানে মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সরদার মিজানুর রহমান প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির শ্রীফলতলা ইউনিয়নের একজন ডিলার।

২০১৬ সাল থেকে তিনি ১৪টি পারিবারে চাল নিয়মিত আত্মসাৎ করে আসছেন। নাম থাকা সত্ত্বেও চাল না পাওয়া ওই ১৪ ব্যক্তি হলেন, রূপসা উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের শাহিদ শেখ, মো. সেলিম শেখ. মো. আনিচুর রহমান, মো. সাইদুর রহমান, খালেদা বেগম, মো. জাহিদ মুন্সি, মো. মুকুল শেখ, মো. কামাল শেখ, মো. রফিকুল শেখ, মমতাজ, নাসিম হাওলাদার, ওলিয়র হাসান, আসলাম খাঁ ও মো. ফারুক হাওলাদার। চাল বঞ্চিতরা জানান, তাদের নাম, ছবি ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড নেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। তবে তাদের নামে কার্ড হয়েছে কিনা সেটি তাদের জানানো হয়নি। এমনকি তারা কখনো ১০ টাকা মূল্যের এই চালও উত্তোলন করেননি।

রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলে ভুক্তভোগীরা জানান ২০১৬ সাল থেকে তাদের এ চাল দেয়া হচ্ছে না। এমনকি তারা জানেনও না যে তাদের নামে কার্ড আছে। সুতারাং ডিলার সরদার মিজানুর রহমান যে তাদের চাল আত্মসাৎ করেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল সোমবার দুপুরে রূপসা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কমিটির সভায় মিজানুর রহমানের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। এছাড়া তার জামানত ২০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একই সাথে ওই ১৪ টি পরিবারের এ যাবৎকালের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার কাছ থেকেই তা আদায় করা হবে। এমনকি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করতে পারবেন।


আরো সংবাদ



premium cement