২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘খাদ্য সহয়তা চাই না, দেশে ফিরতে চাই’ 

বেনাপোল বন্দরে আটকে পড়া ট্রাক ড্রাইভারবৃন্দ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানিকৃত বিভিন্ন পন্য নিয়ে আসা ১৯ জন ভারতীয় ট্রাকচালক ২ মাসের বেশি সময় ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকে আছেন।

বাংলাদেশে আমদানিকারক ও স্থানীয় সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাস দুর্যোগে ভারতীয় ট্রাকচালকদের নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট।

বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস সূত্র জানা গেছে, ভারতে লকডাউন ঘোষণার আগের দিন গত ২০ মার্চ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে শিল্প কারখানার কাঁচামালসহ বিভিন্ন ধরণের পন্য নিয়ে আসে ট্রাক চালকরা। কিন্তু পন্য বেনাপোল বন্দরে খালাসের পর থেকে ট্রাক ও চালকদেরকে নিজ দেশে ফেরত নেয়নি ভারত।

ভারতের উত্তর প্রদেশে বাড়ি ট্রাক চালক সীতারাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে এসে আটকে পড়েছি। ভারত সরকার আমাদের নিচ্ছে না। পরিবারের লোকজনের সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। কাছে যা টাকা পয়সা ছিল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। খেয়ে না খেয়ে গাড়িতেই ঘুমাচ্ছি। বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস ও সিএ্যান্ডএফ এজেন্টের লোকজন মাঝে মাঝে কিছু খাদ্য সহয়তা দিয়েছে। তাতে জীবন চলে না। খাদ্য সহয়তা চাই না, আমরা দেশে ফিরতে চাই।’

মুঠোফোনে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় গাড়ি ও চালকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আমরাও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছি। অনুমতি পেলেই ভারতীয় চালকরা ট্রাকসহ বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসবেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ডিডি) মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডের ভেতরেই ট্রাক ও চালকদের রাখা হয়েছে। বন্দর,কাস্টমস ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা চালকদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। চালকরা নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অনুমতি পেলে যে কোনো মুহূর্তে চালক ও ট্রাকগুলো ফেরত পাঠানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement