২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দামুড়হুদায় নিহত এনজিও কর্মকর্তার দাফন সম্পন্ন

দামুড়হুদায় নিহত এনজিও কর্মকর্তার দাফন সম্পন্ন -

দামুড়হুদার মুন্সিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে এক এনজিও কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে কুতুবপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকালই লাশের ময়নাতদন্ত শেষে রাতে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত এনজিও কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (৪০) দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের নতুনপাড়ার আবদার আলির ছেলে ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বেসরকারি এনজিও (ব্রাক) এর একটি শাখায় কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় লোকজন ও পরিবার জানায়, সাইফুল ইসলাম ঈদের আগের দিন সকালে পীরপুরকুল্লাহ বাজারে মাংস কেনার জন্য যায়। মাংস কেনার পরে কসাইয়ের কাছে টাকা দেয় সাইফুল। এ সময় একই গ্রামের খোদন ঢেকির ছেলে রতন ঢেকি রেগে গিয়ে বলে আমার কাছে টাকা না দিয়ে, কসাইয়ের কাছে টাকা দেয়া, আমরা কি পচে গেছি নাকি? তখন সাইফুল বলেন, মাংস কিনেছি টাকা দিয়েছি তোর সমস্যা কি? তুচ্ছ এ বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে সাইফুলকে মারধর করে রতন। মার খেয়ে বাড়ি চলে যায় সাইফুল। পরে রতন দুপুরে তার দলবল নিয়ে সাইফুলকে খুঁজতে বের হয় এবং বলতে থাকে আজ ওকে মেরেই ভাত খাবো। এমন খবর শুনে সাইফুল ভয়ে মাঠে লুকিয়ে পড়ে। রতনরা তাকে মাঠের দিকেও খুজতে বের হয়। তারপর থেকে সাইফুলকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন সকালে কুতুবপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাইফুলের পিতা আব্দার ছেলে হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলেকে রতন তার দলবল নিয়ে মেরে ফেলেছে। রতনের কঠিন শাস্তির দাবি করছি।’

এ প্রসঙ্গে দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘রোববার সকালে সাইফুল ইসলাম মাংস কেনার জন্য পীরপুরকুল্লা বাজারে আসেন এবং মাংস কেনেন। এসময় মাংসের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের নাজমুল হাসান রতনের সাথে সাইফুলের বাকবিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে সাইফুলকে মারধর করে রতন। পরে ঘটনাস্থলে থেকে সাইফুল বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি আসার পরে সাইফুলকে তার বন্ধুরা দুপুরে দিকে বাজারে যাওয়ার জন্য ডাকে। বন্ধুদের ডাকে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর সন্ধ্যার দিকে সাইফুলের স্ত্রী সাইফুলের মোবাইল ফোনে কল দিলে সে আর রিসিভ করেনি। পরে সাইফুলের পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। তবে সোমবার সকাল ১০টার পরে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের গলায় দাগ ও কানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি, কিন্তু কাউকে আটক করা হয়নি।

দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, ‘সাইফুল হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। স্থানীয় রতন নামের এক ব্যক্তির সাথে গত (রোববার) ঝামেলা হয়েছিল। আর অন্য কোনো বিষয় আছে কি না সেগুলো দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেউ আটক করা হয়নি। হত্যার সাথে জড়িতদের অল্প সময়ে আটক করা সম্ভব হবে।’

এদিকে, নিহত সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামে নেয়া হয়। এদিন রাত ১০টায় জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে বেদনাবিধূর পরিবেশে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, নিহত সাইফুল ইসলাম ২ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার তামান্নাকে বিয়ে করেন। তামান্না বর্তমানে তিন মাসের গর্ভবতী।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরাজগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

সকল