২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুপার সাইক্লোন আমফান মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত ৬০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র

-

ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় খুলনায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার ৬০৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে চার থেকে সাড়ে চার লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। জনসাধারণকে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার আহবান জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাইকিং করা হচ্ছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: আজিজুল হক জোয়ার্দার জানান, ঘূর্ণিঝড় আমফানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে খুলনা জেলার ৩৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৬০৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা দাকোপের ১০৮টি, কয়রার ১১৬টি, পাইকগাছার ৪৫টি ও বটিয়াঘাটার ২৩টিসহ ২৯২টি আশ্রয়কেন্দ্রকে আগেভাগেই প্রস্তুত করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলায় রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ৩ হাজার ৫৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এছাড়া বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) আরো ১ হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

উপকূলের নিকটবর্তী উপজেলা কয়রায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বৃষ্টি ও জোরে বাতাস বইতে শুরু করেছে। তবে এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। তবে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে আছে দিনের শেষদিকে কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্যে।

কয়রা উপজেলা সদরের ইউপি চেয়ারম্যান মো: হুমায়ূন কবির জানান, মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যাননি।

খুলনা জেলা সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, খুলনায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। মাঝেমধ্যে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে হালকা দমকা বাতাস বইছে। মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে ৬০৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement