১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝিনাইদহে সেচ্ছায় লকডাউনে ৩ গ্রামের মানুষ

ঝিনাইদহে সেচ্ছায় লকডাউনে ৩ গ্রামের মানুষ
ঝিনাইদহে সেচ্ছায় লকডাউনে ৩ গ্রামের মানুষ - সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঝিনাইদহের ৩টি গ্রামের মানুষ সেচ্ছায় লকডাউন করেছে তাদের নিজ নিজ গ্রাম। গ্রামগুলো হলো কালিগঞ্জ উপজেলার আনন্দবাগ, কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর এবং ধোপাবিলা গ্রাম।

ওই গ্রামের ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের ১০০ জন সদস্যের উদ্যোগে রোববার সকাল থেকেই বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া বিতরণ করা হচ্ছে সাবান, জীবানুনাশক ও মাস্ক। লকডাউন সমন্বয়কারী সাগর আহম্মেদ ও মিলন মেম্বার জানান, গ্রামের ১০০ জন সেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা গ্রামের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন। বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকছে ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের সদস্যরা। নতুন কেউ গ্রামে আসলে তাদেরকে সমস্ত শরীরে স্প্রে করা হচ্ছে।

লকডাউন করার বিষয়টি কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তারা জানান। কমিটির সদস্য সম্রাট শাহজাহান, আমিনুদ্দিন সুমন, ইয়াদুল ও আনার গণমাধ্যম নয়া দিগন্তকে জানান, ধোপাবিলা গ্রামে প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। লকডাউন করায় গ্রামের গরিব মানুষদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়ারও চেষ্টা চলছে বলে জানান তারা।

এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে বলে অনেকে মনে করেন এলাকাবাসী। কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। ধোপাবিলা গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।


আরো সংবাদ



premium cement