২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চুয়াডাঙ্গায় নবগঙ্গা খননকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩

চুয়াডাঙ্গায় নবগঙ্গা খননকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩ - ছবি: নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে নবগঙ্গা খননকে কেন্দ্র করে নবগঙ্গা খাল পাড়ের দুই জমির মালিকের মধ্যে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংর্ঘষে দুই ভাইসহ ৩ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে হাইদারাপুড় বুচতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ গুরুতর জখম অবস্থায় আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবীলা ইউনিনের হায়াদারপুড় গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত শুকুর আলীর দুই ছেলে, মধু মালিথা (৪৯), জধু মালিথা (৩৬) এবং একই এলাকার মৃত শমসের আলীর ছেলে রেজাউল হক (৪২)। মধু মালিথা ও  জধু মালিথার অবস্থা আমঙঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের কর্মব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

জানা যায়, হাইদারাপুড় বুচতলা এলাকায় মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে নবগঙ্গা নদী, যার খনন কাজ চলমান রয়েছে। এই এলাকায় নবগঙ্গার দুই পাড়ে রয়েছে স্থানীয় শলকের একটি পুকুর ও অপর পাড়ে রয়েছে মধু মালিথা ও জধু মালিথা দুই ভায়ের ফসলি জমি। বনগঙ্গা খননের ফলে শলকের পুকুরটি খননের কারণে নবগঙ্গার মধ্যে পড়ে যেতে পরে এমন আশঙ্কায় প্রভাব খাটিয়ে খননকাজকে একটু ঘুরিয়ে দিতে চাইলে মধু মালিথা ও  জধু মালিথার জমি খননের মধ্যে পড়ার আশঙ্কায় পড়ে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে মধু মালিথা, জধু মালিথা ও একই এলাকার রেজাউল হক গুরুত্বর জখম হন। চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় আহতদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান আহতমদেরকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করেন। মধু মালিথা, জধু মালিথার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেয়ার পরামর্শ দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, বেলা ১২টার দিকে গুরুত্বর জখম মধু মালিথা ও জধু মালিথাকে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তাদের দুইজনের শরীরেই দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্রের একাধিক জখম ছিলো। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিয়োগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement