২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
খাদ্য সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় কম

খুলনায় কাজের সন্ধানে ঘর ছাড়ছে লোকজন

খুলনায় কাজের সন্ধানে ঘর ছাড়ছে লোকজন - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের দরিদ্র পরিবারে ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে খুলনার দাকোপ ও ফুলতলা উপজেলায় চাল, ডাল ও সাবানসহ আরও কিছু সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু পাওয়ার উপযুক্ত এমন কম সংখ্যক মানুষই সাহায্য পেয়েছে বলে জনা গেছে। ফলে সরকার ঘোষিত সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যেও মানুষের ঘর ছাড়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ দুই উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে মোট ১৫৭ জন।

মঙ্গলবার সকালে দাকোপ উপজেলা সদরে পেশাজীবি সেলুন সমিতির সদস্যদের মধ্যে পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও ১ পিচ সাবান বিতরণ করা হয়। উপজেলা সদরে বসবাসকারী ৪২ টি পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, নির্বাহী অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন, চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার ভূমি তারিফ উল হাসান, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আকতার উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় সোমবার হতদরিদ্র দিন-মজুর শ্রমজীবি পরিবারের মাঝে ১২ টন চাল বিতরন করা হয়েছে। কিন্তু অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষের বসবাস হওয়ায় এ উপজেলায় সরকারের এ পর্যন্ত দেয়া খাদ্য সহায়তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এ ফলে সরকারের নির্দেশনা এবং প্রশাসনিক তৎপরতার মাঝে ও অনেকে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছেন। বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক নিজামীর সাথে কথা বলে জানা যায় এ পর্যন্ত দাকোপে বিদেশ ফেরত কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ১০৭ জন। যার মধ্যে মেয়াদ পূর্ন হয়েছে ৫৭ জনের। এখন কোয়ারেন্টিনে আছে ৫০ জন। এ ছাড়া দেশের অভ্যান্তরীন হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা আছে ৮১ জন।

সব মিলিয়ে দাকোপে মঙ্গলবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩১ জন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কশিনার ভূমির নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন ইউনিয়নে হাট বাজার মনিটরিং ও টহলে রত আছে।

ফুলতলা প্রতিনিধি জানান, এ উপজেলার সরকারি সহায়তা হিসেবে পরিবার পিছু ২০ কেজি চাল, ২কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু , সাবান ও বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সাহায্য বিতরণ করেছেন ১৮০ পরিবারে এবং তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ১০০/১২০ করে মোট ৩৬০ পরিবারে, সর্বমোট ৫০০ পরিবারকে সাহায্য বিতরণ করেছেন। যতসংখ্যক পরিবারে দেয়া হয়েছে তা একবারেই কম। ফলে দিনমজুর ও শ্রমিকশ্রেণীর মানুষদের কাজের সন্ধানে বের হওয়া ফাড়া গত্যন্তর নেই। ফুলতলা উপজেলায় ভারত থেকে ফিরে আসা ১৮জনসহ মোট ২৬ জনকে হোম কোয়ান্টাইনে রাখা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement