২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবরারের অকাল মৃত্যুতে রায়ডাঙ্গার বিশ্বাস বাড়ির স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

এলাকাবাসীর ভালবাসার স্থানটি ছিল বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী মরহুম ফাহাদের দাদার বসত বাড়ি কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাস বাড়ি। কুষ্টিয়া শহর থেকে ২ কিমি দূরে। মাঝে রয়েছে গড়াই নদী। শহরের ঘোড়াঘাট দিয়ে গড়াই নদী পার হয়ে মাইলখানিক পথ পেরিয়ে রায়ডাঙ্গা গ্রাম।

ঘোড়াঘাট-শিলাইদহ সড়কের সাথে ফাহাদের দাদার বসত বাড়ি। মূল রাস্তা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ২০ বিঘা জমির উপরে এই বসত বাড়ি সব ধরনের ফলফলাদি ও বৃক্ষরাজি রয়েছে, রয়েছে বাড়ির সামনে বিশালাকার পুকুর। ৫ ছেলে ও ৫ মেয়ের সংসারে ফাহাদের দাদা এবং দাদী এখন জীবিত রয়েছেন।

হাটাচলা ফেরা স্বাভাবিক থাকলেও বয়োবৃদ্ধ দাদা আবুল কাশেম বিশ্বাস কিছুটা শ্রবণ শক্তিহীন এবং দাদী এই একক পরিবারের মূল চালিকা শক্তি। সুশিক্ষিত ৫ পুত্র সন্তান সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত আছেন। কন্যাদের ভাল পাত্রস্থ করেছেন তিনি। ছেলে মেয়ে ও নাতী-নাতনী নিয়ে ৫০ এর বেশি সদস্য এই বিশ্বাস বাড়িকে আলোকিত করেছে।

আলোকিত এই পরিবারের প্রথম সন্তান বরকতউল্লার প্রথম সন্তান আবরার ফাহাদ। বংশের প্রথম তাই ফাহাদকে নিয়ে পুরো পরিবারের আশা স্বপ্নচুড়া। মেধাবী ফাহাদ পরিবারের সকলের স্বপ্ন পূরণে ছিল প্রস্তুত। ভর্তি পরিক্ষায় সব প্রতিষ্ঠানেই ভর্তির সুযোগ করে নিয়ে সর্বশেষ বুয়েটে ভর্তি হয়। বুয়েটের পাঠ চুকিয়ে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণে যাবে সেটা নিয়েও অনেকটা এগিয়েছিল ফাহাদ। কিন্তু বিধিবাম।

ফাহাদের দাদার বাড়িতে একই চুলায় রান্না হয়। ঈদসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ফাহাদের চাচা ও ফুফুদের পরিবারসহ সকলে একসাথে হয় এই বাড়িতে । তখন আনন্দ ও উৎসবমুখর হয়ে উঠে এই বিশ্বাস বাড়িটি। ফাহাদের মৃত্যুতে সেই বিশ্বাস বাড়িতে আকস্মিক ছন্দপতন ঘটেছে। ফাহাদের অনুপস্থিত সকলকে কাঁদিয়েছে। এলাকার নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধা যার সাথেই কথা বলা হয়েছে কেউ এই পরিবারের সুনামে কার্পণ্যতা করেনি।

এলাকাবাসী জানায়, কাশেম বিশ্বাস অনেক সচেতন ও বিচক্ষণ মানুষ। এলাকার আওয়ামী রাজনীতিতে তার বাড়িটি ছিল স্মরণ করার মত। অত্র এলাকার একমাত্র শিক্ষিত পরিবার হিসেবে এই পরিবারকে সকলেই চিনতো। এলাকার ঝামেলামুক্ত পরিবার হিসেবে সব মহলে পরিচিত রয়েছে।

সকালে কাশেম বিশ্বাসকে তার প্রিয় নাতি ফাহাদের মৃত্যুর খবর দেয়া হলে তিনি উচ্চস্বরে কান্না করেন। ফাহাদ সম্পর্কে ফাহাদের দাদা ও দাদীর আহাজারিতে অনেকে চোখের পানি রাখতে পারেনি। ফাহাদকে শেষবারের মত দেখতে এসেছিল ফাহাদের স্কুলের সহাপাঠি বন্ধু-বান্ধবরা, গ্রামের সব বয়সের মানুষেরা এমনিক বুয়েটে অধ্যায়নরত বন্ধুরা। সকলের মুখে ফাহাদের বর্ণনা এবং স্বভাবসুলভ আচরণের প্রশংসা ছিল। গ্রামের মহিলাদের দেখা গেছে আচল দিয়ে চোখ মুছতে। ফাহাদ তাদের নিকট অনেক আশার আলো ও প্রদীপের মত ছিল।

কেননা এলাকাবাসী জানে ফাহাদ জীবিত থাকলে এক সময় এই গ্রামের রত্ন হিসেবে পরিচিতি পেত।


আরো সংবাদ



premium cement
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : মন্ত্রী

সকল