২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

৪৩তম বিসিএসে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় লাখো শিক্ষার্থী

৪৩তম বিসিএসে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় লাখো শিক্ষার্থী - ছবি : নয়া দিগন্ত

এবার ৪৩তম বিসিএসে আবেদন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। স্বায়ত্তশাসিত, পাবলিক, জাতীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের স্নাতক চূড়ান্তবর্ষের কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন কি না তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। করোনার দীর্ঘ বন্ধে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়ায় মূলত এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা দিয়ে অনার্স শেষ করায় বিসিএসসহ সব ধরনের চাকরিতে আবেদন করতে পারছেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই জন্য সেশনজটও নেই তাদের। অথচ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পাবলিক প্রতিষ্ঠানে পড়া শিক্ষার্থীদের।
এ দিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনো শিক্ষার্থী যেন চাকরি কিংবা বিসিএসের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, করোনার কারণে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এরপর যদি তাদেরকে বিসিএস থেকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে অনেকে ভুল কোনো পদক্ষেপ প্রহণ করতে পারে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জমান বলেন, করোনার কারণে আমাদের ছেলেমেয়েদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে যারা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা দেবেন তাদের ক্ষতিটা সবচেয়ে বেশি। আমাদের কোনো শিক্ষার্থী যেন চাকরি কিংবা বিসিএসের আবেদন থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর ৪২তম (বিশেষ) ও ৪৩তম (সাধারণ) বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪৩তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। আবেদন গ্রহণ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বিসিএসে আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে স্নাতক ফাইনাল ইয়ারের সবগুলো বিষয়ের পরীক্ষা শেষ করতে হবে। তবেই শিক্ষার্থী আবেদন ফরম পূরণের সময় অ্যাপেয়ার্ড লিখে আবেদন করতে পারবেন। পরে ফলাফল প্রকাশের পর যোগ্য হলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে করোনার দীর্ঘ বন্ধে স্নাতক পরীক্ষা না হওয়ায় কয়েক লাখ শিক্ষার্থী ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেহেতু বিসিএসে আবেদন শেষ হওয়ার পর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিতে অনেক সময় লেগে যায়, তাই যারা স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ কিংবা যাদের কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাদের সবাইকেই অ্যাপেয়ার্ড হিসেবে আবেদন করার সুযোগ দেয়া হোক।

তবে স্নাতকের সবগুলো বিষয়ের পরীক্ষা শেষ না হলে বিসিএসে আবেদনের কোনো সুযোগ নেই বলে পিএসসির পরীক্ষা শাখার (ক্যাডার) কর্মকর্তা নেয়ামত উল্ল্যাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যেকোনো বিসিএসে আবেদনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই স্নাতকের সব বিষয়ের পরীক্ষা শেষ করতে হবে। তবেই তিনি অ্যাপেয়ার্ড হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। এর বাইরে আবেদনের কোনো সুযোগ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement