১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রমজানে শেষ দশকের আমল

-

মহিমান্বিত মাহে রমজানের শেষ দশক চলছে। শেষ দশককে নাজাতের দশক বলা হয়। জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য সর্বশেষ সুযোগ। শেষ দশকের এই আখেরি অফার লুফে নিতে কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশেষ কয়েকটি আমল উল্লেখ করা হলো:
১. রাত জাগা : এ প্রসঙ্গে রাসূল সা:কে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, রাতের কিছু অংশ কুরআন পাঠসহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত। হয়তোবা আপনার পালনকর্তা আপনাকে প্রশংসিত সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছাবেন। (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত-৭৯)।
২. পরিবারকে ইবাদতে অন্তর্ভুক্ত করা : রাসূল সা:-এর শেষ দশকের আমল প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: বলেন, রাসূল সা: রমজানের শেষ দশকে আমলের শক্তি সঞ্চারের জন্য শক্ত করে কোমর বেঁধে নিতেন, নিজে রাত জাগরণ করতেন, পরিবারের সদস্যদেরকে জাগাতেন। ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন হতেন।
৩. এতেকাফ করা : শেষ দশকের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল এতেকাফ করা। এতেকাফের উদ্দেশ্য হলো দুনিয়ার সকল ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে পুরুষের জন্য মসজিদে এবং নারীদের জন্য নির্জন ঘরে অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থাকা। রাসূল সা: নবুয়াত প্রাপ্তির পর প্রতি বছরই এতেকাফ করেছেন। শেষ দশকে এতেকাফের গুরুত্ব অপরিসীম।
৪. লাইলাতুল কদর তালাশ করা : রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর রয়েছে। রাসূল সা: বলেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ করো। শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে সূরা কদরে মহান আল্লাহপাক বলেন, শবে কদর হলো হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এমন হাজার মাস যাতে শবে কদর নেই।
৫. কুরআন চর্চা করা : রমজানের শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্ব একমাত্র কুরআনের কারণে। রমজানেই কুরআন অবতীর্ণ হয়। শবে কদরের সূচনা হয়। কুরআনের চারটি হক রয়েছে- ক. কুরআন নির্ভুল পাঠ করা। খ. কুরআনের অর্থ বুঝে পড়া। গ. কুরআনের বিধান মেনে চলা। ঘ. কুরআনের বিধান প্রচার করা। এই চারটি হক সামনে রেখে রমজানের শেষ দশকে বেশি বেশি কুরআন চর্চা করা।
৬. বেশি বেশি দোয়া করা : শেষ দশকের অন্যতম আমল হলো বেশি বেশি দোয়া করা। শবে কদরে আল্লাহ তায়ালার কাছে করোনাভাইরাসসহ সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া করা। এ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: একবার রাসূল সা:কে বলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ সা: আমি যদি জানি এ রাতটি শবে কদর, তাহলে কী দোয়া পড়ব? উত্তরে রাসূল সা: বলেন, তুমি বলবে, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে আপনি পছন্দ করেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন, (আল হাদিস)। এ ছাড়া রমজানে শেষ দশকে বেশি পরিমাণে তাসবিহ তাহলিল, তওবা ইস্তেগফার, দান সদকা ও যাবতীয় নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভের সকল চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সম্ভাবনা সত্ত্বেও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে ঘাটতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী লাল গালিচা, ডুবুরি আর একলা সন্ন্যাসী রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে কিশোরীর মৃত্যু জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির মামলা কেএনএফ সদস্যদের আদালতে উপস্থাপন, ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, মর্টার শেলের শব্দে প্রকম্পিত সীমান্ত এলাকা হামলার ব্যাপারে ইসরাইল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে : নেতানিয়াহু ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সকল