২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দাওয়াতি কৌশল

-

ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তথা দাঈদের হিকমাহর সাথে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করার জন্য কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে মানুষকে হিকমাহ ও সুন্দরতম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করবে, আর বিতর্ক করবে উত্তম পন্থায়’ (সূরা নাহল, আয়াত-১২৫)। যাতে মানুষ আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে ভীত হয়ে না পড়ে এবং দূরে সরে না যায়, অথবা তা যেন সাময়িক কোনো আবেগের বস্তুতে পরিণত না হয় যে, ক্ষণে ক্ষণে মানুষ তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং ক্ষণে ক্ষণে ফিরে আসে। কাজেই দাঈদের সর্বদা মূল লক্ষ্য হবেÑ মানুষের গুণগত পরিবর্তন। তথা আল্লাহর দিকে মানুষের এমনভাবে ধাবিত হওয়া, যা হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং মৌলিক পরিবর্তন। আর তা যদি না হয়, তাহলে বিষয়টি হবে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও হেলাফেলার বিষয় এবং সে জন্য দাঈরা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। কাজেই উল্লিখিত কারণে এবং সম্ভাব্য মেকি বা লোকদেখানো পরিবর্তনের বিষয়ে দাঈরা যাতে সর্বদায় সতর্ক থাকেন সে জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনে দাওয়াতি কাজের ক্ষেত্রে হিকমাহর আদেশ করেছেন। আর হিকমাহ হচ্ছে এমন সব উন্নত গুণাবলির সমন্বিত নাম, যা উম্মাহর মেধাবী, চৌকস ও প্রতিশ্রুতিশীল বিবেকবান দাঈরা অর্জন করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের এ মহান কাজে বর্তমানে এমন সব লোকদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, যাদের মধ্যে হিকমাহর গুণ দারুণভাবে অনুপস্থিত। ফলে দাওয়াতের ময়দানে ক্রমাগত বিবাদ-বিশৃঙ্খলা ও হিংসা-বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় এ বিষয়ে সবার বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
‘হিকমাহ’ একটি কুরআনিক পরিভাষা। পবিত্র কুরআনের অসংখ্য জায়গায় এ শব্দের বহুমাত্রিক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। তবে এটি যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত দাওয়াতি কার্যক্রমের প্রধান ‘উসুল’ বা মূলনীতিÑ এ বিষয়ে বিতর্ক করার সুযোগ নেই।
হিকমাহর পরিচয় ও সংজ্ঞা : হিকমাহ শব্দটি আরবি। ক্লাসিক্যাল আরবিতেÑ শত্রুতাকে বন্ধুতা দ্বারা জয় করা বোঝাতে এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এর সরল বাংলা অর্থ হচ্ছেÑ প্রজ্ঞা, পাণ্ডিত্ব বা দূরদর্শিতা। ইংরেজিতেÑ ডরংফড়স. সাধারণত হিকমাহ বলতে বোঝানো হয়Ñ কাজ-কর্ম, কথা-বার্তা ও চিন্তাভাবনা সঠিক বিবেচনার সাথে সম্পাদিত হওয়া বা বিশুদ্ধ হওয়া। মুসলিম উম্মাহর প্রধান মুফাচ্ছির সাইয়েদুনা ইবনু আব্বাস রা. বলেন, ‘কুরআনের দৃষ্টিতে হিকমাহ হলোÑ হালাল এবং হারাম সম্পর্কে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ লাভ করা’ (ইবনে কাছির)। ইমাম ইবনুল কায়িম রহ. হিকমাহ সম্পর্কে তাঁর তাফসিরে লিখেছেনÑ ‘হিকমাহ হলো হকের সঠিক জ্ঞান থাকা ও তার ওপর আমল করা এবং কথা ও কাজে তার প্রমাণ পেশ করা।’ উসুলবিদদের মতেÑ ‘জ্ঞান ও বিবেকের সমন্বিত শক্তির নির্যাস হচ্ছে হিকমাহ।’ ফকিহদের মতেÑ ‘ইসলামী শরিয়াহর বিধি-বিধান সম্পর্কে গভীরভাবে জানা এবং তা প্রয়োগের কলাকৌশল সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করার নাম হিকমাহ।’
মোটকথাÑ দাঈদের জন্য হিকমাহ হচ্ছে এমন কিছু বিশেষ গুণ ও দক্ষতা অর্জনের নাম, যা দিয়ে মানুষকে ইসলামের প্রতি সহজে আকৃষ্ট ও উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং ইসলামের সুুুশীতল ছায়াতলে মানুষ দলে দলে আশ্রয় গ্রহণ করে।
হিকমাহর স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য : হিকমাহর প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করতে হলে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হজরত লোকমানকে আল্লাহ প্রদত্ত হিকমাহর স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমাদের অবহিত হতে হবে। তাহলে বিষয়টি সহজ ও বোধগম্য হবে বলে আশা করছি।
কুরআনের সূরা লোকমানে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যাঁকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ‘হিকমাহ’ প্রদান করেছিলেন বলে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি লোকমানকে হিকমাহ দান করেছিলাম এই মর্মে যে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তার কৃতজ্ঞতা হবে নিজেরই জন্য লাভজনক। আর যে ব্যক্তি কুফরি করে, তার জেনে রাখা উচিতÑ আল্লাহ হচ্ছেন অমুখাপেক্ষী এবং সর্বাধিক প্রশংসিত’ (সূরা লোকমান, আয়াত-১২)।
বেশির ভাগ তাফসিরের বর্ণনা মতে, হজরত লোকমান কোনো নবী ছিলেন না, তথাপি তাঁকে হিকমাহ দান করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি সর্বদায় আল্লাহর শোকর বা কৃতজ্ঞতা আদায় করতেন। অতএব এখানে হিকমাহর প্রথম যে বৈশিষ্ট্যটি পাওয়া যায়, তা হলোÑ কৃতজ্ঞতা আদায় করা। অর্থাৎÑ যারা অধিক পরিমাণে আল্লাহর শোকর আদায় করে থাকে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের হিকমাহ দান করেন।
দ্বিতীয় যে বৈশিষ্ট্যটি পাওয়া যায় তা হলোÑ আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে গভীর জ্ঞানার্জন করা। যেমনÑ হজরত লোকমান এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি এই গুণে বিশেষভাবে গুণান্বিত ছিলেন। যিনি দ্বীনের প্রতিটি হুকুমের অন্তর্নিহিত কারণ, তাৎপর্য ও তার পরিণাম সম্পর্কে গভীরভাবে জানতেন। ফলে তিনি তাঁর জীবন সায়াহ্নে প্রিয় পুত্রকে লক্ষ্য করে যে সব প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনে হিকমাহর দৃষ্টান্তস্বরূপ তা হুবহু তুলে ধরেছেন। যেমনÑ তিনি শিরক সম্পর্কে বলেছেনÑ ‘হে পুত্র, আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করো না, নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে সবচয়ে বড় জুলুম’ (সূরা লোকমান, আয়াত-১৩)। তিনি আখিরাতের বাস্তব অবস্থার কথা তুলে ধরে বলেনÑ ‘হে বৎস, কোনো বস্তু যদি সরিষাদানা পরিমাণও হয়, অতঃপর তা যদি থাকে প্রস্তরগর্ভে, তবে আল্লাহ তাও সেদিন উপস্থিত করবেন’ (সূরা লোকমান, আয়াত-১৬)। এ ছাড়াও তিনি তাঁর পুত্রকে হিকমতপূর্ণ আরো যেসব গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন তার সারসংক্ষেপ হলোÑ ‘সালাত কায়েম করবে, সৎ কাজের আদেশ করবে, মন্দ কাজে নিষেধ করবে এবং বিপদে ধৈর্যধারণ করবে। অহঙ্কার করবে না, মানুষকে অবজ্ঞা করবে না এবং মানুষের সাথে আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে কখনো ঔদ্ধত্য প্রকাশ করবে না। সর্বদায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে এবং কণ্ঠস্বরকে নিচু রাখবে’ (সূরা লোকমান, আয়াত-১৭, ১৮)। হজরত লোকমানের এ সব উপদেশবাণী প্রমাণ করে, তিনি দ্বীনি বিষয়ে কতটা গভীর জ্ঞানী, বাস্তববাদী ও পণ্ডিত ছিলেন।
হজরত লোকমানের হিকমাহর তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলোÑ নবুয়তি ইলমের সাথে তাঁর ইলম সাযুজ্যপূর্ণ হওয়া। যেমনÑ তাঁর সম্পর্কে তাফসিরে ইবনে কাছিরে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়েছে, একবার হজরত লোকমানের মনিব তাঁকে বলেছিলেন যেÑ তুমি একটি বকরি জবাই করো এবং তার দেহের সর্বনিকৃষ্ট দু’টি অঙ্গ আমার সামনে হাজির করো। হজরত লোকমান বকরিটি জবাই করে তার হৃৎপিণ্ড ও জিহ্বা তার মনিবের সামনে হাজির করলেন। তাঁর মনিব পুনরায় আরো একটি বকরি জবাই করার নির্দেশ দেন এবং তার দেহের সর্বোৎকৃষ্ট দু’টি অঙ্গ তার সামনে হাজির করার নির্দেশ দেন। হজরত লোকমান এবারো বকরিটির সেই একই অঙ্গ তার মনিবের সামনে হাজির করেন। মনিব তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি তো সেই একই অঙ্গ নিয়ে এসেছ! জবাবে হজরত লোকমান তার মনিবকে বলেন, প্রতিটি প্রাণীর এই দু’টি অঙ্গই হলো সবচেয়ে উৎকৃষ্ট এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এই দু’টি অঙ্গই সব ভালোর কারণ এবং এই দু’টি অঙ্গই সব মন্দের কারণ। এখানে হজরত লোকমানের যে দূরদর্শিতা ও বিজ্ঞতার পরিচয় পাওয়া যায়, তা আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর একটি অমীয় বাণীর সাথে অত্যন্ত দারুণভাবে মিলে যায়। তা হলো এই যে, নবী করিম সা: বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের দেহের মধ্যে এমন একটি গোশতের টুকরা রয়েছে, তা যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তার পুরো দেহই নষ্ট হয়ে যায়, আবার তা যদি ভালো থাকে, তাহলে পুরো দেহই ভালো থাকে। সাবধান হে মানুষ! তা হলো কলব বা অন্তর’ (সহিহ বুখারি)।
দাওয়াতি কাজে হিকমাহর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দাঈদের জন্য হিকমাহর গুণ অর্জন করা অত্যাবশ্যক (ফরজ)। এর প্রথম কারণ হলোÑ এটি ছিল রাসূলুল্লাহ সা:-এর অনস্বীকার্য এক নবুয়তি মিশন। বর্তমানে উম্মাহর দাঈরা সে মিশনের উত্তরাধিকারী। রাসূলুল্লাহ সা:-এর প্রধান তিনটি মিশনের মধ্যে প্রথমটি ছিলÑ মানুষকে কুরআন শিক্ষা দেয়া, দ্বিতীয়টি ছিলÑ মানুষকে হিকমাহ শিক্ষা দেয়া এবং তৃতীয়টি ছিলÑ মানুষকে পরিশুদ্ধ করা। মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইবরাহিম আ: আমাদের প্রিয় রাসূল হজরত মুহাম্মদ সা:-এর এই তিনটি নবুয়তি মিশনের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে যে দোয়া করেছিলেন, তা ছিলÑ ‘হে আমাদের রব! আপনি তাদের মধ্যে এমন এক রাসূল প্রেরণ করুন, যিনি তাদেরকে আপনার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনাবেন, আপনার কিতাব শিক্ষা দেবেন, হিকমাহ শিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন’ (সূরা বাকারা, আয়াত-১২৯)। বাস্তবিকই রাসূলুল্লাহ সা: তাঁর সাহাবিদের মধ্যে হিকমাহর গুণ এমনভাবেই সন্নিবেশিত হয়েছিল যে, তাঁদের প্রত্যেকের জীবন ও কর্ম তা দিয়ে পরিপূর্ণভাবে সুশোভিত হয়েছিল। ফলে তাঁরা দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সফল হয়েছিলেন।
দ্বিতীয় যে কারণে দাঈদের জন্য হিকমাহর গুণ অর্জন করা অত্যাবশ্যক, তা হলো এই যেÑ কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই মহান দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের কাজে আত্মনিয়োগকৃত লোকদের মধ্যে হিকমাহর গুণ থাকা এ নির্দেশের (আমর) মাধ্যমে আবশ্যক করে দিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে মানুষকে হিকমাহ ও সুন্দরতম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করবে, আর বিতর্ক করবে উত্তম পন্থায়’ (সূরা নাহল, আয়াত- ১২৫)।
বেশির ভাগ মুফাচ্ছির এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনÑ দাওয়াতি কাজের জন্য ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান এবং উত্তম চরিত্র থাকা অত্যাবশ্যক। কারো যদি ইসলাম সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকে এবং আমলদার না হয়, তাহলে দাওয়াতি কাজে ওই ব্যক্তির নিয়োজিত হওয়া উচিত নয়। কেননা, তাতে ইসলামকে লোকসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। তা ছাড়া দাওয়াতি কাজের আদব বজায় রাখা, প্রবল ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেয়া, ত্যাগ স্বীকার করা, এমনকি শহীদ হওয়াÑ এ আয়াতে উল্লিখিত হিকমাহর অন্তর্ভুক্ত। কোনো কোনো মুফাচ্ছির বলেন, এ আয়াতে হিকমাহ বলতে কুরআন ও সুন্নাহকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ এর অর্থ হলোÑ ‘কুরআন ও সুন্নাহ দিয়ে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা।’ কাজেই এ কথায় এটিও সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, দাওয়াতি কাজের একমাত্র টেক্সট হবে পবিত্র কুরআন ও রাসূল সা:-এর সহিহ হাদিস। সুতরাং একমাত্র কুরআন ও সহিহ হাদিস দিয়ে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানানোর নাম হলো ইসলামী দাওয়াহ।
এ ছাড়া পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, এ মর্মে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেনÑ ‘আর যাকে হিকমাহ দান করা হয়েছে, তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়েছে’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত-২৬৯)। এ আয়াতে ‘প্রভূত কল্যাণ’ বলতে ওই সব গুণাবলির কথা বোঝানো হয়েছে, যে সব গুণাবলি হিকমাহর অন্তর্ভুক্ত এবং যা আমরা উপরে আলোচনা করে এসেছি।
পরিশেষে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও সুমহান কাজে নিয়োজিত দাঈদের কাছে আমাদের সবিনয় আবেদন থাকবে, তাঁরা যেন কুরআনে বর্ণিত হিকমাহর গুণ অর্জন করতে সচেষ্ট হন এবং দাওয়াতি কাজে একমাত্র কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করেন। কুরআন-সুন্নাহর দিকেই যেন তাঁরা মানুষকে আহ্বান জানান। দাওয়াতি কাজের আদব (শিষ্টাচারিতা) বজায় রাখেন, ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেন, ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকেন ও বিপরীত মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। হিংসা, পরশ্রীকাতরতা ও বিরক্তির উদ্রেক না ঘটান। বরং তাঁদের প্রতি মানুষের আগ্রহের জন্ম দেন এবং ভালোবাসা বিলান।
লেখক : গবেষক

 


আরো সংবাদ



premium cement