২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নারী শিক্ষার গুরুত্ব

-

রাসূল সা: জ্ঞান অর্জনের বিষয়ে নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদার অধিকারী করেছে, নারী শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখেছেন। এ প্রসঙ্গে নবী করিম সা: জোরালোভাবে বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ’ (ইবনে মাজাহ : ২২৪ )।
ওই হাদিসে জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে নারী-পুরুষের মাঝে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। বরং জ্ঞান অর্জন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার ওপর কর্তব্য।
নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে অবহেলা ও অবজ্ঞা করা যাবে না। হাদিসে এদের প্রতিও পুত্রসন্তানের সমান গুরুত্বের প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে। রাসূল সা: বলেছেন : ‘কোনো ব্যক্তির যদি একজন কন্যাসন্তান থাকে এবং সে তাকে হত্যা করেনি, কোনো প্রকার অবহেলা করেনি এবং পুত্রসন্তানকে কন্যাসন্তানের ওপর কোনো প্রকার প্রাধান্য দেয়নি। আল্লাহ তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন’ (আবু দাউদ : ৫১৪৬)।
নারী শিক্ষার কত দৃষ্টান্ত ফোটে উঠেছে নিচের হাদিসে :
একবার এক মহিলা নবীকরীম সা:-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্ রাসূল! আপনার হাদিস তো কেবল পুরুষেরা শুনতে পায়। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিন, যেদিন আমরা আপনার কাছে আসব, আল্লাহ আপনাকে যা কিছু শিখিয়েছেন তা থেকে আপনি আমাদের শেখাবেন।
তিনি বললেন : ‘তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক জায়গায় একত্র হবে।’ সে মোতাবেক তারা একত্র হলেন এবং নবী সা: তাদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাকে যা কিছু শিখিয়েছেন তা থেকে তাদের শিক্ষা দিলেন (সহিহ বুখারি : ৭৩১০)।
আশ-শিফা বিনতু আবদুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি হাফসাহ রা:-এর নিকট ছিলাম, তখন নবী সা: আমাকে বললেন :
‘তুমি কি ওকে (হাফসাহকে) যেভাবে লেখা শিখিয়েছ, সেভাবে পিঁপড়া (পোকা) কামড়ের ঝাড়ফুঁক শিক্ষা দেবে না?’ (আবু দাউদ : ৩৮৮৭)
আল্লাহর রাসূল সা: তিন শ্রেণীর লোকের জন্য দু’টি পুণ্যের কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে এক শ্রেণী হলোÑ ‘এমন লোক যার দাসী ছিল, তারপর তাকে সে সুন্দরভাবে আদাব-কায়দা শিক্ষা দিয়েছে এবং ভালোভাবে দ্বীন ইলম শিক্ষা দিয়েছে, অতঃপর তাকে আজাদ করে বিয়ে করেছে’ (সহিহ বুখারি : ৯৭)।
অন্য হাদিসে রাসূল সা: নারীদের উত্তম শিক্ষার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা নারীদের উত্তম উপদেশ দাও (অর্থাৎ উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করো)’ (বুখারি : ৩৩৩১)।
লেখক : মাদ্রাসা শিক্ষক


আরো সংবাদ



premium cement