২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দরুদ ও সালামের ফজিলত

-

প্রত্যেকটি আমলের ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। দরুদ পড়া ও সালাম দেয়া একটি উত্তম আমল। এরও ভিন্ন গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। দরুদ পড়ার মাধ্যমে রাসূল সা:-এর দ্বীনের প্রতি ঈমান ও মহব্বত বৃদ্ধি পায়। কুরআনেও দরুদ ও সালাম দেয়ার ওপর তাগিদ দেয়া হয়েছে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ পাঠান; হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পাঠাতে থাকো এবং উত্তম অভিবাদন (সালাম পেশ) করো।’ (সূরা আহজাব : ৫৬)
দরুদ ও সালামের ওপর আমলের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। দরুদ ও সালামের ওপর আমল করলে, আল্লাহ তায়ালা আমলকারী ব্যক্তির মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহপাক তার ওপর ১০ বার রহমত নাজিল করবেন। এ ছাড়া তার ১০টি গোনাহ মাফ করা হবে এবং ১০টি দরজা বুলন্দ অর্থাৎ মর্তবা বাড়িয়ে দেয়া হবে। (নাসায়ি, মিশকাত পৃষ্ঠা-৮৬)
এ ছাড়া দুনিয়ার জিন্দেগিতে যে যাকে ভালোবাসবে বা মহব্বত করবে, কিয়ামতের দিন তার ভালোবাসার বা পছন্দের মানুষের সাথে হাশর হবে। কারো যদি ইচ্ছা হয় যে, আমি হাশরের দিন রাসূল সা:-এর সাথে থাকব, তাহলে ওই ব্যক্তিকে দরুদের ওপর আমল করতে হবে। হজরত ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতে আমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে, যে আমার ওপর অধিক দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজি, মিশকাত পৃষ্ঠা-৮৬)
পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে, যে কেউ দরুদ ও সালাম পড়–ক না কেন, আল্লাহর কুদরতে দরুদ ও সালাম প্রেরণের খবর রাসূল সা:-এর কাছে পৌঁছে যায়। আল্লাহ তায়ালা এমন কিছুসংখ্যক ফেরেশতা নিয়োজিত করে রেখেছেন, তাদের দায়িত্ব হলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে দরুদ ও সালাম প্রেরণের খবর সংগ্রহ করে রাসূল সা:-এর কাছে পৌঁছে দেয়া। হজরত ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর কতেক ফেরেশতা রয়েছেন, যারা পৃথিবীতে ভ্রমণ করেন এবং আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছান। (নাসায়ি, দারেমি, মিশকাত পৃষ্ঠা-৮৬)
দোয়া কবুলের আদব হলো দোয়া করার আগে রাসূল সা:-এর ওপর দরুদ পড়া। দরুদ পড়ার গুরুত্ব এতটাই বেশি, যতক্ষণ পর্যন্ত রাসূল সা:-এর ওপর দরুদ পড়া না হয়, ওই ব্যক্তির দোয়া আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। হজরত উমর বিন খাত্তাব রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, দোয়া আসমান ও জমিনের মধ্যে (শূন্যে) অবস্থান করতে থাকে, যতক্ষণ না তোমরা নবীর ওপর দরুদ পাঠ না করো তা ওপরে চড়ে না অর্থাৎ উঠে না। (তিরমিজি, মিশকাত পৃষ্ঠা-৮৭)
রাসূল সা:-এর নাম মুবারক যেখানে উচ্চারিত হয়, শুনার সাথে সাথে তাঁর ওপর দরুদ পড়তে হয়। ওই সময়ে দরুদ না পড়লে গোনাহগার হতে হয়। হজরত আলী রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, কৃপণ ওই ব্যক্তি যার নিকট আমার নাম উচ্চারণ করা হলো অথচ সে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করল না। (তিরমিজি, মিশকাত পৃষ্ঠা-৮৭)
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল